আধারের নতুন নিয়ম: বর্তমান সময়ে ভারতে আধার কার্ড সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি হয়ে উঠেছে। এবার সরকার নতুন একটি প্রযুক্তি চালু করতে চলেছে যাতে এই আধার কার্ডের ব্যবহারকে আরো সহজ এবং তারাতারি করতে। যেকোনো প্রয়োজনীয় কাজে এবার থেকে শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই হবে। কোনরকম ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ওটিপি লাগবে না। অর্থাৎ, আর আঙ্গুলের ছাপ বা ওটিপির কোন ঝামেলা পোহাতে হবেনা।
এবার থেকে আধার কার্ডের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করা যাবে সরাসরি ফেস অথেন্টিকেশন বা মুখের ছবি দিয়েই। আশা করা যাচ্ছে, সরকারের এই নতুন নিয়মে গোটা দেশে আধার সংক্রান্ত পরিষেবা আরো সহজ এবং সুরক্ষিত হতে পারে।
সরকারে নতুন নিয়ম কীভাবে কাজ করবে?
আধার কার্ডের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আধার সংক্রান্ত যেকোনো কাজ করতে গেলে আর আধার কার্ডের প্রয়োজন হবে না। পরিবর্তে ব্যবহারকারীরা শুধু মুখের ছবি দিয়েই তার পরিচয় যাচাই করতে পারবে। এই প্রযুক্তি চালু হলে ব্যাংক, ই-কমার্স, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে আধার ভেরিফিকেশন আরো সহজ হবে। বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই পদ্ধতি বিশেষ উপযোগী হবে। কারণ অনেক সময় তাদের আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট থাকে না বা ওটিপি পাওয়া যায় না।
পশ্চিমবঙ্গে চাকরির মেলা শুরু হচ্ছে, সরাসরি ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পান…
আধারের নতুন নিয়ম
বড় পদক্ষেপ, নকল আধার রুখতে:
সরকারের নতুন ফেস অথেন্টিফিকেশন প্রযুক্তি চালু হলে আধার কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত জালিয়াতি মুক্তি পাবে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় ভুয়ো আধার কার্ড তৈরি করে প্রতারণা করা হয়। যদি এই নতুন নিয়ম কার্যকর হয় তাহলে একমাত্র আসল ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি আর আধার কার্ড ব্যবহার করতে পারবে না। ফলে আধারের নিরাপত্তা অনেকটাই বেড়ে যাবে।
সাধারণ মানুষ কী কী সুবিধা পাবে?
আধার কার্ডের এই নতুন নিয়মের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ যে সুবিধাগুলি পাবে, সেগুলি হল-
•হাতের আঙ্গুলের ছাপ না মিললেও মুখের ছবি দিয়ে সরাসরি ভেরিফিকেশন করা যাবে।
•শুধুমাত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই এবার ভেরিফিকেশন হয়ে যাবে।
•ফেস অথেনটিকেশনের মাধ্যমে আধার কার্ডের তথ্য দ্রুত যাচাই করা যাবে।
•আধার কার্ডের তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং জালিয়াতি হ্রাস পাবে।
নতুন নিয়মের কিছু তথ্য:
আশা করা যাচ্ছে,এই নতুন নিয়ম কার্যকর হলে আধার কার্ড সংক্রান্ত সমস্ত কাজ আরও তারাতারি ও নির্ভরযোগ্য হবে। আধার কার্ডের ভেরিফিকেশন এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়ে যাবে, যা সাধারণ মানুষের সময় এবং পরিশ্রম দুটোই বাঁচিয়ে দেবে তবে। এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা পুরোপুরি বোঝার জন্য এখনো অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের তরফ থেকে কোন কিছু ঘোষণা করেনি।
বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।