আপনিও কি বাংলার আবাস যোজনার আওতায় টাকা পেয়েছেন? বা আগামী দিনে পাবেন বলে অপেক্ষা করছেন? তাহলে আপনাদের জন্য সুখবর। এই প্রকল্পটি নিয়ে প্রকাশ্যে এল বিরাট খবর। কি এই বিরাট খবর? তা জানতে হলে আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর চোখ বুলিয়ে নিন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার পদক্ষেপ:
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে বাংলার আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর এই নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কম কাদা ছোঁড়াছুড়ি হয়নি। সেইসাথে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের টাকা না দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব এখন অতীত, এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার সকলের কথা মাথায় রেখে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার সময় এগিয়ে আনার বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে খবর।
রাজ্যের বিরাট ভাবনা আবাস যোজনার টাকা নিয়ে
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বাংলার এমন বহু মানুষ আছেন যারা কিনা আবাস যোজনার টাকা কবে পাবেন? সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর দেরি না করে আগেভাগেই এই প্রকল্পের টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এর ফলে আবাস যোজনায় আবেদনকারীরা বিপুলভাবে উপকৃত হবেন।
মধ্য কথা হলো, সরকার আবাস যোজনা প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা সময়ের অনেক আগেই সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন। এদিকে সামনেই রয়েছে ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট। বিশিষ্ট মহল মনে করছে, এই ভোটের আগে এই সমস্ত কাজ সরকারের বিরাট পদক্ষেপ হতে পারে। ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে আবাসের সকল উপভোক্তাকে মুখ্যমন্ত্রী চলতি ১২ লক্ষ ছাড়াও আরও ১৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। বিশিষ্ট মহল দাবি করছেন আর এই টাকা নির্ধারিত সময়ের আগেই সকলের ব্যাঙ্কে ঢুকবে।
প্রশাসন সূত্রে খবর ও কাজ শুরু:
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে যত তাড়াতাড়ি আবেদনকারীদের টাকা পাঠানো যায় সেই নিয়ে জোরকদমে কাজ চালাচ্ছেন। যদিও কিছু ক্ষেত্রে বাধা যে একেবারেই নেই সেটাও বলছে না রাজ্য। যেমন প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে এই সময়টায় কিছু চাষের কাজে উপভোক্তারা ব্যস্ত থাকেন। ফলে সেখানে বাড়ি তৈরির গতি কিছুটা কমেছে। আবার ইদের কারণেও কিছুদিন সেই কাজ করা যায়নি। সব মিলিয়ে সংশ্লিষ্টদের দাবি, এখনও ৩-৪ শতাংশ কাজ বাকি রয়েছে। নবান্ন তরফ থেকে সেগুলিই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন।

অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার সমস্ত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছেন, যাতে কাজগুলো যতটা সম্ভব তারাতারি হক।
প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, নবান্নের তরফ থেকে জুন মাসে প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর, এখন কিন্তু মে মাসের শেষের মধ্যে সেই মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সেই টাকা সকলকে পাঠানো হবে।

বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।