পশ্চিমবঙ্গ সরকার : মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে রাজ্যের সকল শ্রেণীর মানুষদের জন্য নানা ধরণের সরকারি প্রকল্প চালু করেছেন। এই সকল প্রকল্পের মধ্যে লক্ষ্মীর ভান্ডার অন্যতম এখন রাজ্যের সকল মহিলাদের কাছে, কারণ এই স্কিমের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১০০০ ও ১২০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য বা ভাতা দেওয়া হয়। রাজ্যের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় যেমন শুধুমাত্র মহিলারা আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকেন, কিন্তু এই প্রকল্পে এবার পুরুষেরাও আর্থিক সাহায্য পাবেন। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের নাম সমুদ্র সাথী প্রকল্প। সরকারের তরফে থেকে এই প্রকল্পে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার
মৎস্যজীবীদের জন্য সরকারি প্রকল্প:
প্রায় শীতের আবহাওয়া কেটে গিয়ে এবার ধীরে ধীরে গরম পড়তে শুরু করেছে। আর কিছু দিনের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে বর্ষাকাল। এই বর্ষার মরশুমে মুলত মৎস্যজীবীদের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এই সময়ে তাদের চলবে কি করে? তাই মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে এনাদের কথা মাথায় রেখে সমুদ্র সাথী প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। এই প্রকল্পে কি কি সুবিধা পাবেন, কারা আবেদন করবেন, কিভাবে টাকা পাবেন, আবেদনের জন্য কি কি নথি লাগবে বিস্তারিত জেনে নিন, আজকে এই প্রতিবেদন থেকে।
এই প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন?
সকল মৎস্যজীবীরা বর্ষার দুই মাস সময় মাছ ধরার সঙ্গে যুক্ত। সরকারের তরফ থেকে তাদের জন্য ৫০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে । আর এই কারণের জন্য বিগত বছরের রাজ্য বাজেট পেশ করার সময়ে ঘোষণা করেছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুলত রাজ্যের উপকুল বর্তী জেলা গুলোতে বসবাসকারী জেলেরা খুবই উপকৃত হয়েছেন এই প্রকল্পের মাধ্যমে। কিন্তু এই প্রকল্প শুধুমাত্র মাছ ধরার কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরাই এই সুবিধা পাবেন অন্য কেউ এই আবেদন করতে পারবেন না।
তাই সরকারের তরফে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা সরকারকে এই প্রকল্প শুরু করার জন্য মৎস্য জীবীদের তরফে অনেক ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। কারণ অনেকেই মনে করছেন যে, এই প্রথম কেউ তাদের জন্য এমন চিন্তা করলো।
সমুদ্র সাথী প্রকল্প আবেদন করবেন কিভাবে?
এই প্রকল্পে যাদের নাম রয়েছে তারা তো সরাসরি টাকা পেয়ে যাবেন। কিন্তু যাদের নাম নথিভুক্ত নেই তারা আগামী কোন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। অর্থাৎ যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা বর্ষার মরসুমে ৫০০০ টাকা করে পেতে চান তারা এই প্রকল্পে আবেদন করে এই আর্থিক সাহায্য পেতে পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে কাছাকাছি BDO অফিস, পঞ্চায়েত বা পৌরসভাতে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
এখনো পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় থেকে লক্ষাধিক মৎস্যজীবীরা আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। মনে করা হচ্ছে যে, এবারে নতুন অনেক মানুষকে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করবেন সরকার।
আরও পড়ুন, Indian Citizenship 2025 : বাংলাদেশের নাগরিককে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।