স্নেহের পরশ’ প্রকল্প
স্নেহের পরশ’ প্রকল্প: পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের দুর্দান্ত কিছু প্রকল্প রয়েছে। করোনা মহামারির সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা যখন কাজ হারিয়ে বাড়িতে ফিরে আসছিলেন, তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই সময় সরকার শুরু করেছিল ‘স্নেহের পরশ’ নামের একটি বিশেষ প্রকল্প। যার মাধ্যমে রাজ্যের বাইরে থাকা শ্রমিকদের জন্য আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন আবার এই প্রকল্পটি নতুন করে চালু হচ্ছে, যার ফলে আগ্রহী শ্রমিকরা আবার আবেদন করতে পারবেন। এই প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য জানাবো আজকের এই প্রতিবেদনে তাই প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন।
স্নেহের পরশ’ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য:
সরকারের এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো কর্মহীন ও আর্থিক সংকটে থাকা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো। যাতে তারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন অর্থের সহায়তা পান, তেমনি স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকেও কোন চিন্তা না থাকে।
এই প্রকল্পের কী কী সুবিধা রয়েছে?
এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পেতে পারবেন। যেমন –
আর্থিক সহায়তা: যারা দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কাজ করছিলেন এবং মহামারির ধাক্কায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য সরাসরি আর্থিক সাহায্য হিসেবে টাকা দেওয়া হবে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি: যারা বাইরে কাজ করতেন, তারা এখন রাজ্যে ফিরে এলেও কাজের অভাবে সমস্যায় পড়ছেন। এই স্কিম তাদের রাজ্যের মধ্যেই নতুন কাজের সুযোগ করে দেবে।
শিক্ষা সহায়তা: প্রবাসী শ্রমিকদের সন্তানদের পড়াশোনার যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য শিক্ষা খাতে সহায়তা মিলবে। সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে স্কুলের খরচ বা অন্যান্য প্রয়োজনীয়তায়।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা: এই প্রকল্পের আওতায় থাকা শ্রমিকরা জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুযোগ পাবেন, যাতে বিপদের সময় চিকিৎসা করাতে সমস্যা না হয়
সামাজিক নিরাপত্তা: শুধু টাকার সাহায্য নয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে শ্রমিকদের আত্মবিশ্বাসও ফিরে আসবে। তারা বুঝতে পারবেন, সরকার তাদের পাশে আছে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
•আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
•লকডাউনের সময় অন্য রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিক হতে হবে।
•আবেদনকারীর অবশ্যই একটি বৈধ ভারতীয় ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
•আবেদনকারীর পরিচয় পত্র অর্থাৎ আধার কার্ড বা ভোটার কার্ড অথবা প্যান কার্ড ।
•পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণপত্র ।
•আবেদনকারীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস ।
•আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
•আবেদনকারী পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যের কোন প্রতিনিধির নাম এবং তার সাথে সম্পর্ক কি ও সেই প্রতিনিধির মোবাইল নাম্বার দিতে হবে ।
•আবেদনকারী নিজের চালু থাকা ফোন নাম্বার।
•বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক অন্য যে রাজ্যে কাজ করছে সেই রাজ্যের ঠিকানার প্রমাণ ।
আবেদন পদ্ধতি:-
আপনাদের জানিয়ে রাখছি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের “ওয়েস্ট বেঙ্গল স্নেহের পরশ” নামে একটি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে।
•আবেদনকারী কে সর্বপ্রথম নিজেদের মোবাইল ফোনে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।
*(Google Play Store থেকে এই App টি খুব সহজেই ডাউনলোড করা যাবে অথবা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে wb.gov.in হোম পেজে জয় বাংলা লিংক থেকেও এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা যায়।)
•এরপর অ্যাপটি অপেন করলে একটি আবেদন পত্র আসবে।
•তারপর আবেদন পত্রটিতে যা যা তথ্য চাইবেই সেগুলো সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
•এরপর যা যা নথিপত্র আপলোড করতে হবে।
•তারপর সাবমিট করে দিতে হবে।
*আবেদন জমা দেওয়ার পর যাচাইয়ের মাধ্যমে আবেদনকারীকে সিলেক্ট করা হবে এবং তার দেওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরে অর্থ সরাসরি স্থানান্তরিত হয়ে যাবে।

গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক:-
অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি | ডাউনলোড করুন |
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | ক্লিক করুন |
স্ট্যাটাস চেক লিঙ্ক | ক্লিক করুন |
আরও পড়ুন:- কৃষকবন্ধু প্রকল্পের টাকা সরকার কবে দিবে? বিস্তারিত জানুন।

বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।