১২ লক্ষ OBC সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে: কলকাতা হাইকোর্ট গত বছর মে মাসে ২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় ভুক্তদের দেওয়া সব শংসাপত্র বাতিল করে দেয়। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া সেই রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টে সেই বিষয়ে বিচার চলছে। এরই মধ্যে হাইকোর্ট নতুন মামলা দায়ের করেন। যার ফলে রাজ্য সরকার আরও চাপে পড়ে যায়। কি এই নতুন মামলা? বিস্তারিত জানুন।
১২ লক্ষ OBC সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে
OBC শংসাপত্র নিয়ে হাইকোর্টে নতুন মামলা:
ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের মান্যতা দেননি রাজ্য সরকার। অভিযোগ করা হয়েছে প্রায় ৯ মাস কেটে গেলেও আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। এবার সেই নিয়েই নতুন করে আদালতে নির্দেশকে অবমাননার জন্য মামলা দায়ের হল। ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর না করায় ক্ষুব্ধ হন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত রাজ্যের অনিচ্ছা ও উদাসীনতায় ক্ষোভ উগরে দেয়। হাইকোর্টের তরফ থেকে এত দিন হয়ে যাওয়ার পরও আদালতের নির্দেশ কার্যকর করায় গাফিলতির অভিযোগে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করেছেন।
বিচারপতিদের নির্দেশ:
হাইকোর্টের মামলার পরবর্তী শুনানিতে মুখ্যসচিবকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
কবে মামলার শুনানি হবে?
আদালতে সূত্রে খবর, আগামী ১২ মার্চ দুপুর ২ টোয় এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেই দিনই মুখ্যসচিবকে হাজিরা দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৭৭টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ওবিসির তালিকাভুক্ত করেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে গত মে তে ২০১১ সাল থেকে জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়। যার জেরে এক ধাক্কায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়।

রাজ্য উচ্চ আদালতের সেই রায়ের বিরোধীতা করে শীর্ষ আদালতের দরবারে যায়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলা চলাছে। আগে রাজ্যের আইনজীবী হাইকোর্টের রায়ের উপর যাতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় সেই আর্জি জানান। তবে হাইকোর্টের রায়ের উপর কোনো স্থগিতদেশ দেওয়া হয়নি সুপ্রিমকোর্ট তরফে থেকে।
আরও পড়ুন, কৃষকদের ঋন ছাড় দিলো সরকার! টাকা দিবে ক্ষতিপূরণের ..

বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।