প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি যোজনার আওতায় যেসব কৃষকরা নিজেদের নাম ইতিমধ্যে নথিভুক্ত করিয়েছেন, তাঁরা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি টাকা পাবেন। কিন্তু এই টাকা পেতে অবশ্যই আপনাকে e-KYC করতে হবে।
প্রত্যেক কৃষকের একাউন্টে যেনো সঠিক সময়ে টাকা ঢুকে যায় সেই দিকটা লক্ষ্য রেখেই বার বার এই e-KYC করতে বলা হচ্ছে, যদি কোনো কৃষক e-KYC না করায় তাহলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯তম কিস্তি কোনো মতেই পাবে না।
পরবর্তী কিস্তি ২৪শে ফেব্রুয়ারি দিবে
বাংলাসহ গোটা ভারতের কৃষকেরা অপেক্ষায় আছে এই কিষান সম্মান নিধি যোজনার ১৯তম কিস্তি কবে ঢুকবে, আগামী ২৪শে ফেব্রুয়ারি প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিহারের ভাগলপুর থেকে এই পি এম কিষান সম্মান নিধি যোজনার ১৯ তম কিস্তির টাকা সরাসরি কৃষকের একাউন্টে জমা করবে। প্রত্যেক কৃষকের একাউন্টে সরাসরি ২০০০ টাকা জমা হবে। কিন্তু এই টাকা সঠিক সময়ে একাউন্টে নিতে হলে বাধ্যতামূলক ভাবেই e-KYC করতেই হবে নাহলে কোনো মতেই পি এম কিষান সম্মান নিধি যোজনার ১৯তম কিস্তি পাওয়া যাবে না।
e-KYC করতে হবে কিনা কিভাবে বুঝবেন?
খুব সহজেই কৃষকেরা e-KYC করতে হবে কিনা তা পি এম কিষান সম্মান নিধি যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই দেখে নিতে পারবেন। এর জন্য কৃষকের রেজিস্ট্রেশন আইডি দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করলেই দেখতে পাবে যে e-KYC করতে হবে কিনা। যদি দেখেন e-KYC পেন্ডিং আছে তাহলে সময় নষ্ট না করে চটপট e-KYC আপডেট করিয়ে নিন।
কোথায় ও কিভাবে e-KYC করতে হবে?
প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই e-KYC করা যায়। তবে e-KYC করার দুটো মাধ্যম রয়েছে-
ক) আধার OTP দিয়ে e-KYC করার নিয়ম
যদি কৃষকের আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত থাকে তাহলে সেই কৃষক বাড়িতে বসে নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে e-KYC করতে পারবে। এর জন্য পি এম কিষান সম্মান নিধি যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গিয়ে e-KYC অপশনে ক্লিক করে পর পর ধাপ গুলো অনুসরণ করতে হবে।
খ) CSC সেন্টার থেকে বায়োমেট্রিক-র মাধ্যমে e-KYC করার নিয়ম
যে সকল কৃষকের আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর যুক্ত নেই, সেই কৃষক বাড়িতে বসে এই e-KYC করতে পারবে না। সেই কৃষক কে নিকটবর্তী CSC সেন্টার গিয়ে নিজের আঙুলের ছাপ দিয়ে e-KYC সম্পূর্ণ করতে হবে। এবং এই কিষান সম্মান নিধি যোজনার e-KYC করতে কোনরকম টাকা লাগেনা, তবে CSC সেন্টার গিয়ে করলে ৩০-৫০ টাকা চার্জ নিতে পারে।

কৃষি দপ্তরও এই কাজে সাহায্য করছে
কৃষি দপ্তরের কিছু নোডাল অফিসার গ্রামে গ্রামে ভিজিট করে কৃষকদের e-KYC করছে যদিও এটা সব জাগায় নয়। এবং যেসব কৃষকরা বাইরে আছে তাদেরকেও জানানো হচ্ছে এবং যেসব কৃষকরা মৃত সেই কৃষকদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিচ্ছে।
কেন এই e-KYC বাধ্যতামূলক?
প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি যোজনার টাকা অনেকেই অবৈধ ভাবে পাচ্চিলেন এবং প্রকৃত কৃষকেরা যেনো স্বচ্ছতার সঙ্গে টাকা পায় এবং মৃত ব্যক্তিদের একাউন্টে যেনো টাকা চলে না যায় তাই বার বার এই e-KYC আপডেট করতে বলা হয়। কারণ অনেক সময় দেখা যায় মৃত ব্যক্তিদের একাউন্টে দীর্ঘদিন যাবত টাকা ঢুকতেই থাকে ফলে এইরকম যেনো না হয় এবং ভুয়ো উপভুক্তাদের বাতিল করতে এই e-KYC বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
যেসব কৃষকরা এখনো e-KYC করেননি তাদের শেষ সময় জলদি এই e-KYC করেনিন নাহলে আগামী ২৪ শে ফেব্রুয়ারি টাকা পাবেন না।
প্রধানমন্ত্রী সম্মান নিধি যোজনার কৃষকেরা কত টাকা পায়?
পি এম কিষান সম্মান নিধি যোজনার আওতায় কৃষকরা বছরে ৬০০০ টাকা পায়, যা ৪ মাস অন্তর অন্তর ২০০০ টাকার কিস্তি দেওয়া হয়। তাই বছরে একটি কৃষক এই কিষান সম্মান নিধি যোজনার আওতায় সর্বোচ্চ ৬০০০ টাকা পেতে পারে। তবে এই টাকা পেতে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে তা অবশ্যই মানতে হবে । তাহলেই প্রত্যেক ৪ মাস অন্তর অন্তর ২০০০ টাকা করে একাউন্টে জমা পড়বে।
আপনাদের সুবিধার্থে পি এম কিষান সম্মান নিধি যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংক নিচে দেওয়া হলো এই লিঙ্কে ক্লিক করে e-KYC করতে পারবেন।
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট | Click Here |
e-KYC চেক | Click Here |

বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত।