বর্তমান সময়ে প্রায় সকল মানুষের হাতেই স্মার্টফোন। কিন্তু মোবাইল চালাতে গেলে রিচার্জ তো করতেই হয় মাসে মাসে। আর এই রিচার্জের খরচ যেমন দিন দিন বেড়েই চলেছে। নতুন সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষদিকে আবার মোবাইল রিচার্জের দাম বাড়তে পারে। জিও, এয়ারটেল ও ভোডাফোন এই বড় তিনটে কোম্পানিই নাকি দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এর ফলে, সাধারণ মানুষের আবারও মাথায় হাত।
আবার রিচার্জের দাম কত বাড়তে পারে?
গত বছরই টেলিকম কোম্পানিগুলো একবার রিচার্জের দাম বাড়িয়ে ছিলেন। সেই সময় অনেক সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়েছিল, অনেকে কম প্ল্যান নিতে বাধ্য হয়েছিল। এবার যদি আবারও দাম বাড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষ যেমন কষ্টে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অনুমান করা হচ্ছে যে, এখন যেই প্ল্যানে ২০০ টাকায় চলে, সেটা ভবিষ্যতে ২৫০ বা তার বেশি হয়ে যেতে পারে।
কোম্পানিগুলো কেন দাম বাড়াচ্ছে?
টেলিকম কোম্পানিগুলোর দাবি করছেন, তাদের অনেক খরচ হচ্ছে— ৫ জি টাওয়ার বসানো জন্য নতুন যন্ত্রপাতি কেনা ও নেটওয়ার্ক ঠিক রাখা ইত্যাদি। এত খরচ সামলাতে গিয়ে তাদের রিচার্জের দাম বাড়াতে চাইছেন। মধ্যে কথাই, কোম্পানির খরচ, আর এই চাপটা এসে পড়ছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ওপর।
বর্তমানে মোবাইল গুরুত্ব:-
মোবাইল এখন আর শুধুমাত্র কথা বলার জন্যই সীমাবদ্ধ নয়। অনলাইন ক্লাস, চাকরির খোঁজ, পেমেন্ট, খবর দেখা সবই এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। তাই এই খরচ বাড়াটা সাধারণ মানুষের মাথাব্যথার কারণ।
কাদের সমস্যার পড়তে হবে?
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন গরিব আর মধ্যবিত্ত মানুষজন। যেমন – গ্রামে, মফস্বলে, শহরের ভেতরেও অনেক মানুষ আছেন। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। ওই মানুষগুলো মোবাইল চালান অনেক হিসেব করে, যাতে দরকারি কাজটা হয়ে যায়। এখন যদি আবার দাম বাড়ে, তাহলে ওদের পক্ষে মোবাইল চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।

ভবিষ্যতে কী হতে চলেছে?
অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, শুধু এবার না, ২০২৭ সাল পর্যন্ত এমন দাম বাড়তেই থাকবে। কোম্পানিগুলো নাকি আগেভাগেই এমন পরিকল্পনা করে রেখেছে। যেটা শুনে অনেকেই চিন্তায় পড়েছেন, তাহলে মোবাইল কি আর সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবে না? সরকার বা টেলিকম দপ্তর যদি কিছু না করে, তাহলে আমাদের মতো মানুষেরা ভবিষ্যতে বড় সমস্যায় পড়বে।
আরও পড়ুন, Digital Birth Certificate: হাতে লেখা জন্ম শংসাপত্রকে এখনই ডিজিটাল করুন! কিভাবে করবেন? জানুন।

বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।