পিএম কিষাণ যোজনা
পিএম কিষাণ যোজনা: কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনা চালু করেছেন। এই যোজনা নিয়ে কেন্দ্রের বিভিন্ন নিয়মের জন্য বহু কৃষক বাদ পড়েছেন এই যোজনা থেকে।কেন্দ্র সরকারই কৃষকদের পাশে থাকছে না, এটাই মনে করছে কৃষকরা। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনা’ থেকে কোচবিহার জেলার বহু কৃষক বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রের কড়া নিয়মের কারণে অনেকেই এই প্রকল্পে নাম লেখাতে পারছেন না। কিন্তু কারা পাবেন এই যোজনা টাকা বিস্তারিত জানুন আজকে এই প্রতিবেদন থেকে।
কারা এই যোজনার টাকা পাবেন এবং কারা পাবেন না?
সম্প্রতি জেলার কৃষি দপ্তর জানাচ্ছে, ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারির আগে যাঁদের নামে জমির খতিয়ান কম্পিউটারে রেকর্ড হয়েছে, শুধু তাঁরাই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন। কিন্তু যাঁদের জমির রেকর্ড ২০১৯ সালের পরে হয়েছে, তাঁরা এই সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে প্রকৃত চাষিরাও বাদ পড়ছেন।
এই যোজনা নিয়ে এক কৃষকের বক্তব্য:-
মাথাভাঙ্গার চাষি জমিলা বেওয়া বললেন, “আমি কৃষকবন্ধু প্রকল্পে টাকা পেয়েছি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যোজনার টাকাটা পাইনি। যদি পেতাম, অনেক উপকার হতো।”
রাজ্যের কৃষকবন্ধু প্রকল্প ও কেন্দ্রের পিএম কিষাণের মধ্যে পার্থক্য:
রাজ্যের কৃষকবন্ধু প্রকল্প ও কেন্দ্রের পিএম কিষাণের এই দুই প্রকল্প চালু করেছেন কৃষকদের সহায়তা করার জন্য। কিন্তু এই কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন –
•একদিকে রাজ্যের কৃষকবন্ধু প্রকল্পে প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার কৃষক আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। তেমনি অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে মাত্র ২ লক্ষ ৫২ হাজার কৃষক অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
•রাজ্যের প্রকল্পে এক একরের বেশি জমির জন্য বছরে ১০ হাজার টাকা এবং এক একরের কম জমির জন্য ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বছরে তিন কিস্তিতে মোট ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয় কৃষকদের।

প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনা নিয়ে সমালোচনা:
কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া কেন্দ্রীয় এই যোজনাকে ভাঁওতা বলেই আখ্যা দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, “জটিল নিয়ম করে সাধারণ কৃষকদের বাইরে রাখা হচ্ছে।”
সাতমাইল সতীশ ক্লাবের সম্পাদক অমল রায় বলেন, “সব কৃষক যাতে কেন্দ্রীয় সুবিধা পান, তার জন্য নিয়মটা সহজ হওয়া দরকার।” এইভাবে প্রকল্পে সুযোগ না পেয়ে কোচবিহারের বহু প্রান্তিক কৃষক আজ হতাশ। সরকারের উচিত এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা।

বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।