বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫: ২০০২ সালের ভোটার তালিকা আপনার নাম নেই, এপিক নং ভুল, ঠিকানা পরিবর্তন, তাহলে কী করবেন? বিস্তারিত দেখুন।

বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫

বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫: বাংলায় ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। কী নথিপত্র? সবাই কি ফর্ম পূরণ করতে হবে? ২০০২ সালের ভোটার তালিকা নাম নেই? নাম থাকলেও বানান ও এপিক নং ভুল? ঠিকানা পরিবর্তন ও যারা বিদেশে থাকেন তাদের কি করনীয়? এই সমস্ত বিভ্রান্তি করার জন্য আজকের এই প্রতিবেদন, তাই প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫

বিষয় সূচী:-

সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তার সমাধান

EPIC নম্বর পরিবর্তন:

আপনাদের যদি ২০০২ সালের পর আপনাদের EPIC (ভোটার পরিচয়পত্র) নম্বর পরিবর্তিত হয়ে থাকে, তবে চিন্তার কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন আপনার পুরনো এবং নতুন নম্বর লিঙ্ক করতে পারবে।

বানান বা জন্মতারিখের ভুল:

আপনাদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নামে বা জন্মতারিখে ছোটখাটো ভুল থাকলে তা সাধারণত কোনো সমস্যা নয়, বিশেষ করে যদি আপনার বর্তমান EPIC-তে সঠিক তথ্য থাকে। বড় ধরনের ভুলের ক্ষেত্রে, আপনি ১১টি বিকল্প নথির মধ্যে সঠিক তথ্যসহ একটি ব্যবহার করতে পারেন।

২০০২ সালের তালিকায় EPIC নম্বর না থাকা:

আপনাদের যদি ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় আপনাদের নামের পাশে EPIC নম্বর না থাকে, কিন্তু আপনার কাছে বর্তমানে EPIC নম্বরসহ ভোটার আইডি কার্ড থাকে, তবে সেটাই যথেষ্ট।

ঠিকানা পরিবর্তন (বিশেষ করে বিয়ের পর মহিলাদের জন্য):

ঠিকানা পরিবর্তন হলেও, যদি আপনাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় থাকে, তাহলে আপনারা বর্তমানে একজন বৈধ ভোটার। আপনাদেরকে শুধুমাত্র ২০০২ সালের তালিকা থেকে সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠাটি সরবরাহ করতে হবে।

মৃত বাবা-মা:

যদি কারো বাবা-মা মারা গিয়ে থাকেন কিন্তু তাদের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল, তবে আপনাদের আবেদনের জন্য এটি কোনো সমস্যা হবে না।

রাজ্যের বাইরে থেকে আবেদন:

পশ্চিমবঙ্গে প্রক্রিয়া শুরু হলে এনভিএসপি (ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিস পোর্টাল) এর মাধ্যমে অনলাইনে গণনা পত্র পূরণ করা যাবে। নথি এবং ছবিও অনলাইনে আপলোড করা যাবে।

কি কারণে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে ও আবার ফিরে পেতে কী কী করতে হবে?

নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ভোটারদের তালিকা থেকে তালিকাভুক্ত করা ভোটারদের নাম বাদ পড়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। কারণগুলি নীচে উল্লেখ করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে ভোটার তালিকায় আপনার নাম ফিরে পাওয়া জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা হল:

•আপনার যদি সেই নির্বাচনী এলাকার মধ্যে নতুন ঠিকানায় চলে যান যেখান থেকে আপনি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য কিন্তু তালিকায় নাম নেই, তাহলে আপনাকে ( ক্লিক করুন) ওয়েবসাইটে গিয়ে ফর্ম 8A ডাউনলোড করতে হবে অথবা নির্বাচনী তালিকাভুক্ত করা কর্মকর্তা (ERO) এবং সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন কর্মকর্তা (AERO) এর অফিস থেকেও পাওয়া যেতে পারে।

•আপনি যদি অন্য কোনও নির্বাচনী এলাকায় চলে যান যেখান থেকে আপনি আগে কোনও নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিলেন কিন্তু তালিকায় নাম নেই, তাহলে আপনাকে আপনার নতুন নির্বাচনী এলাকায় পুনরায় তালিকাভুক্ত করতে হবে। এর জন্য আপনাকে ফর্ম 6 পূরণ করতে হবে। এটি ( ক্লিক করুন) ওয়েবসাইট থেকেও ডাউনলোড করা যেতে পারে অথবা নির্বাচনী নিবন্ধন কর্মকর্তা (ERO) এবং সহকারী নির্বাচনী নিবন্ধন কর্মকর্তা (AERO) এর অফিস থেকেও পাওয়া যেতে পারে।

•কোনও ভোটার যদি আপনার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে চান, তাহলে ফর্ম ৭ ডাউনলোড করতে হবে অথবা ERO এবং AERO অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

•এহেন পরিস্থিতি হতে পারে যেখানে ভোটার তালিকায় ভুল নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যার ফলে আপনি ভোট দিতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনে আপনার সম্পর্কে যে কোনও ভুল তথ্য থাকতে পারে তা সংশোধন করার জন্য, ফর্ম 8 পূরণ করতে হবে।

CAA Big Update 2025: CAA তে আবেদন করতে হিন্দুত্বের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে! কোন জেলায় কোথায় দিচ্ছে এই ভিডিওতে দেখুন

বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫

ভোটার তালিকায় আপনার নাম আছে কিনা তা কিভাবে দেখবেন?

আপনার নাম ভোটার তালিকায় আছে কিনা নীচের ধাপগুলি অনুসরণ করে দেখে নিন। সেই ধাপগুলো হলো –

প্রথম ধাপ, জাতীয় ভোটার পরিষেবা পোর্টালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট খুলুন ।

দ্বিতীয় ধাপ, হোম পেজে ‘ নির্বাচনী ভূমিকায় আপনার নাম অনুসন্ধান করুন ‘ বিকল্পটি নির্বাচন করুন।

তৃতীয় ধাপ, প্রদত্ত জায়গায় আপনার তথ্য লিখুন এবং তারপর ‘ এন্টার ‘ টিপুন।

*যদি আপনার নাম থাকে তাহলে, বিস্তারিত তথ্য স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে এবং আপনি জানতে পারবেন যে, আপনার নাম ভোটার তালিকায় আছে কিনা।

ভোটার তালিকায় নামনথিভুক্ত করার পদ্ধতি:

ভোটার তালিকায় নামনথিভুক্ত করা জন্য নীচের পদ্ধতি অনুসরণ করে করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।

প্রথমত, আপনার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করুন অথবা ERO অফিস থেকে সংগ্রহ করুন।

দ্বিতীয়ত, সঠিক বিবরণ দিয়ে আবেদনপত্রটি পূরণ করুন এবং এর সাথে জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করুন।

তৃতীয়ত, নির্বাচনী এলাকার ভোটার কেন্দ্রে এটি সম্বোধন করুন।

*স্বশরীরে ফর্ম জমা দেওয়া পদ্ধতি হল:-

•প্রথমে আপনার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্রটি ডাউনলোড করুন এবং এর একটি প্রিন্ট আউট নিন অথবা ERO অফিস থেকে সংগ্রহ করুন।

•তারপরে সঠিক বিবরণ দিয়ে আবেদনপত্রটি পূরণ করুন এবং এর সাথে জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করুন।

•এরপরে পূরণ করা আবেদনপত্রটি আপনার নির্বাচনী এলাকার ভোটার কেন্দ্রে অথবা BLO-তে জমা দিন।

বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫

প্রয়োজনীয় নথিপত্র:

উপরে উল্লিখিত আবেদনপত্রের সাথে যে নথিপত্রগুলো জমা দিতে হবে সেগুলো হলো –

•আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি যা আপনার আবেদনপত্রে আটকে দিতে হবে।

•একটি নথি যা আপনার বয়সের প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

*ঠিকানার প্রমাণপত্র। নির্বাচন কমিশন ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে যেসব নথি গ্রহণ করতে পারে সেগুলি হল-

•রেশন কার্ড।

•ব্যাংক পাসবই।

•পাসপোর্ট।

•ড্রাইভিং লাইসেন্স।

•বিদ্যুৎ বিল।

•গ্যাস বিল।

•টেলিফোন বিল।

বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫
বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫ | বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫

ভোটার আইডি অবস্থা কিভাবে যাবেন?

আপনার ভোটার আইডির অবস্থা জানতে EPIC [space] লিখে আপনার ভোটার আইডি আবেদন নম্বর 9211728082 নম্বরে পাঠিয়ে আপনার ভোটার আইডির অবস্থা জানতে পারবেন ।

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

আপনারা আতঙ্কিত না হয়ে পশ্চিমবঙ্গের জন্য নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করুন। যেকোনো সমস্যার জন্য বিএলও-র সাথে পরামর্শ করুন। প্রক্রিয়াটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে যা আমরা আমাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সরাসরি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। বাংলায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন ২০২৫.

আরও পড়ুন, সংশোধিত ভোটার লিষ্ট ২০০২ সালের! 2002 Voter List Download

Leave a Comment