Supreme Court: তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও আলাদা সংরক্ষণে সম্মতি, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের।

Supreme Court: তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যেও আলাদা সংরক্ষণে সম্মতি, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের।

Supreme Court

Supreme Court: 2008 সালের তফসিলি উপজাতি – জনজাতির মধ্যেও শ্রেনি সম্মতি খারিজ করে দিলেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্ব সাত বিচারপতির বেঞ্চে তরফ থেকে। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের ছয় বিচারপতি এই রায়ের পক্ষে সম্মতি জানানো হয়।

Table of Contents

এই রায় হল-ঐতিহাসিক রায়। জনজাতি-উপজাতির মধ্য়েও শ্রেণি বিভাজনে সম্মতি জানালো সুপ্রিম কোর্টের। বৃহস্পতিবারে সুপ্রিম কোর্টে সাত বিচারপতির বেঞ্চের তরফে শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে তফসিলিজাতি-জনজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনে সম্মতি দেওয়া হয়।সুপ্রিমকোর্টের তরফ থেকে জানিয়েছে এই রায় পিছিয়ে পড়া শ্রেণি জন্যই , যাতে শিক্ষা ও চাকরিতে আরও বেশি সুযোগ সুবিধা পায়। তবে রাজ্য সরকারের হাতে তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে উপশ্রেণিকে সংরক্ষণ দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে।

2008 সালের তফসিলি উপজাতি – জনজাতির মধ্যেও শ্রেনি সম্মতি খারিজ করে দিলেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্ব সাত বিচারপতির বেঞ্চে তরফ থেকে। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের ছয় বিচারপতি এই রায়ের পক্ষে সম্মতি জানানো হয়।সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের ছয় বিচারপতি, প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি বিআর গভাই, বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা , বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি পঙ্কজ মিত্তল এই রায়ের পক্ষে সম্মতি জানিয়েছেন। তবে বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী রায়ের বিরোধিতা করেছেন। Supreme Court

Supreme Court
Supreme Court
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ইভি চিন্নায়া বনাম অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের মামলায় পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের তরফে সংরক্ষণে তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছিল 2008 সালে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের মামলা হয়। সম্প্রতি এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতে তফসিলিজাতি-উপজাতির মধ্যে আরও শ্রেণিবিভাজনের পক্ষেই সম্মতি দিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে, সাব ক্লাসিফিকেশন ও সাব-ক্যাটেগরিজেশনের মধ্যে তফাৎ রয়েছে। তফসিলি জাতি-উপজাতির মধ্য়েও যাতে আরও পিছিয়ে পড়া শ্রেণি সুযোগ-সুবিধা পায়, তার জন্য জাতি-উপজাতির মধ্যে শ্রেণিবিন্যাসের দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে।

এই মামলার রায়দানে প্রধান বিচারপতি বলেন, “অনেক সময়ই বৈষম্যের কারণে তফসিলি জাতি-উপজাতির সম্প্রদায়রা উন্নতির শিখরে পৌঁছতে পারেন না। তাই 14 নং ধারায় জাতির এই শ্রেণিবিন্যাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইতিহাসে সাক্ষী রয়েছে যে পিছিয়ে পড়া শ্রেণি কখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণি ছিল না।”

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গভাই বলেন, “আমি 1949 সালে ডঃ বিআর আম্বেদকরের একটি বক্তব্যও উদ্ধৃত করেছি যেখানে তিনি বলেছিলেন, সামাজিক গণতন্ত্র না থাকলে, রাজনৈতিক গণতন্ত্র থেকে কোনও লাভ নেই। তফসিলি জনজাতির প্রতিটি শ্রেণির প্রতিবন্ধকতা আলাদা। ইভি চিন্না ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ওই রায়ে বলা হয়েছিল রাজনৈতিক সুবিধা পেতে কোনও দল উপশ্রেণিকে সংরক্ষণ দিতে পারে। কিন্তু আমি এর সঙ্গে সহমত নই। মূল লক্ষ্যই হল আসল সাম্য বোঝা।”

আরও পড়ুন- West Bengal ICDS Recruitment 2024: 32000 শূন্য পদে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ শুরু হয়েছে, অনলাইনে আবেদন করুন।

আরও পড়ুন- Bankura Puja News 2024: শুশুনিয়াতে পাহাড়ের নীচে দুর্গাপূজার সূচনা! থিম এখনো প্রকাশ্যে তুলে ধরা হয় নি।

Leave a Comment