MHA Reply On CAA 2024: CAA- এর অধীনে নাগরিকত্ব চাওয়া মানুষগুলো বর্তমানে কেমন রয়েছে? যে কোনো তথ্য জানাতে ‘অক্ষম’ কেন্দ্র সরকার!
MHA Reply On CAA 2024:
আরও একবার CAA নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনসাধারণদের মধ্যে। তবে বিষয়টা এইবার কিছুটা অন্যরকম, এইবার সকলে জানতে চাইছে ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে বা সিএএ-র অধীনে যে সমস্ত ব্যক্তিরা নতুন করে ভারতের নাগরিকত্ব- এর অধিকার লাভ করতে চেয়েছিলেন, বর্তমানে কেমন রয়েছেন তারা। তবে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আনা এই মুহুর্তে সম্ভব হচ্ছে না। বা বলা যেতেই পারে কেন্দ্র সরকার সেই সম্পর্কিত যে কোনো তথ্যাবলী সবার সামনে অর্থাৎ প্রকাশ্যে আনার জন্য প্রস্তুত নেই।
RTI বা সরকারি যে কোনো তথ্য জানার অধিকার আইনের অধীনে ‘দ্য হিন্দু’র তরফ থেকে করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর তরফ থেকে একটি উত্তর পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সেই উত্তর অনুযায়ী প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যম দ্বারা প্রত্যেকের উদ্দেশ্যে একটা খবর জানানো হয়েছে, সেটা হলো CAA সংক্রান্ত এই বিষয়ে বা যে কোনো বিষয়ে সেইটুকু তথ্যই প্রকাশ করা সম্ভব, যেটুকু তথ্য প্রকাশ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। MHA Reply On CAA 2024
Table of Contents
CAA- এর অধীনে কেমন রয়েছে নাগরিকরা, এই তথ্য প্রকাশে কেন কেন এতো অক্ষমতা?
CAA অধীনে নাগরিকত্ব পাওয়া মানুষগুলো বর্তমানে কেমন পরিস্থিতিতে রয়েছে এই সর্ম্পকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গত ৩ অক্টোবর একটি জবাবি চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে জানিয়েছেন যে, “কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক (সিপিআইও) যেহেতু ২০০৫ সালের আরটিআই আইনের অধীনে কোনও তথ্যাবলী সঙ্কলিত করতে বাধ্য নন, তাই এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে না।” MHA Reply On CAA 2024
বলা বাহুল্য CAA আইনের অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্ব- এর অধিকার পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আবেদনকারীরা যাতে নিজেদের জন্য আর্জি জানাতে পারেন, সেই কারণ বশত সরকার থেকে আবেদন জানাতে ইচ্ছুক সেই মানুষদের জন্য (indiancitizenshiponline.nic.in) উক্ত পোর্টাল খোলা হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট পোর্টালের মাধ্যমে কতজন ব্যক্তি নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন?
এই প্রশ্ন সামনে আসতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী উত্তর হিসেবে জানান যে, এখনো পর্যন্ত সরকার সঠিক ভাবে এর হিসাব করেন নি তাই এই তথ্য সম্পর্কে এখনো তেমন কোনও কিছু জানানো সম্ভব হচ্ছে না। এর প্রশ্নের কারণ হিসেবেও তিনি জানিয়েছেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব পাওয়ার আইনে এবং ২০১৯ সালে পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কোনো জায়গায় বলা হয় নি যে, এই সমস্ত আবেদনকারীদের তথ্যাবলী সংরক্ষিত ভাবেই রাখতে হবে।
এই বিষয়ে আরও একটি খবর সামনে এসেছে RTI ভারতীয় নাগরিকত্বের অধিকার পাওয়ার জন্য আবেদন জানান অজয় বোস নামে মহারাষ্ট্রের এক বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৫ ই এপ্রিল তিনি আবেদন জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সেই আবদনের জবাবেও একই উত্তর দিয়েছেন।
একইসাথে জানানো হয়েছে, RTI অনুসারে, সিপিআই- এরও নতুন তথ্যভাণ্ডার তৈরি করার অধিকার নেই। তাই, CAA – এর মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকত্বের অধিকার পাওয়া নিয়ে এই বিষয় সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য প্রকাশ্যে আনার মতো কোনও তথ্য সরকারের কাছে উপস্থিত নয়।
কতজন নাগরিকের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে?
উল্লেখ্য, ২০২৪- এর লোকসভা নির্বাচনী ভোটের ঠিক আগে গত ১১ মার্চ কেন্দ্র সরকার CAA আইন কার্যকর করতে একটি নির্দেশিকা জারি করেন। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর অর্থাৎ গত ৫ বছর আগে এই সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিল পাশ করা হয় এবং তা এরপর সেটি ভারতীয় নাগরিকত্বের আইন হিসাবে বা CAA আইন হিসেবে পরিণত হয়।
পরবর্তী সময়ে CAA আইন কার্যকর হতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লেগে যায় এবং ২০২৪- এর লোকসভা নির্বাচনী ভোটের ঠিক আগে সকলের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে এই CAA আইন কার্যকর করা হয়। এই নিয়ে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিলো মোদী সরকারকে। তবে অবশেষে সব রকমের আলোচনাকে সরিয়ে দিয়ে CAA আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্বের অধিকার আদায়ের শংসাপত্র হাতে পেয়ে ভারতের অনেক নগরিকরাই।
আরও পড়ুন- ABHA Health Card 2024: ভারত সরকার ৫ লক্ষ টাকা দিছেন আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে , বিস্তারিত জেনে নিন।

বিগত প্রায় ৩ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।