Lakkhir Bhandar New Update 2024: পাড়ায় পাড়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্লাব, মহিলাদের তরফ থেকে রয়েছে নতুন উদ্যোগ!
Lakkhir Bhandar New Update 2024:
রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বহু মহিলার জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। রাজ্য সরকার দ্বারা পরিচালিত তার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির মধ্যে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করছে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প থেকে এইবার এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল চাঁদরা ব্লকের সনকাডাঙ্গা গ্রামের মহিলারা। এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সাহায্যে উক্ত গ্রামের মহিলারা নিজেদেরকে আরো বেশি স্বনির্ভর করে গড়ে তুললেন লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব- এর মাধ্যমে। Lakkhir Bhandar New Update 2024
Table of Contents
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্লাব:
চাঁদরা ব্লকের সনকাডাঙ্গা গ্রামের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে এক অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সনকাডাঙ্গার গ্রাম বাংলার মহিলারা নিজেদের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবারের মহিলারা একত্রিত হয়ে এই লক্ষীর ভান্ডার ক্লাব গঠন করেছেন।
মহিলাদের দ্বারা গঠিত এই ক্লাবের মূল উদ্দেশ্যগুলি হল-
১) গ্রামের উন্নয়নমূলক কাজ কর্মে সকলে মিলে অংশগ্রহণ করা।
২) গ্রামের বাল্যবিবাহ বন্ধ করা এবং সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
৩) গ্রাম বাংলার মহিলাদের আরো বেশি করে অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তোলা।
এই ক্লাবের উদ্দেশ্য কী?
এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। বিশেষ করে এই কারণকে প্রাধান্য দিয়ে মহিলারা এই ক্লাব গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। গ্রামের মহিলারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, এই ক্লাবের মাধ্যমে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের এই সুবিধাকে আরো বড়ো ও সমাজের কল্যাণমূলক কাজের জন্য করা যাবে।
এছাড়াও সবসময়ই এই ক্লাব গঠনের প্রাথমিক প্রধান উদ্দেশ্য একটাই যে গ্রামের মহিলাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করে তোলা। সেই ক্লাবের একজন সদস্য রীতা দাস জানিয়েছেন, “আমরা চাই আমাদের গ্রাম আরো বেশি উন্নত হোক। শুধু ঘরের কাজ নয়, বর্তমান সময় থেকে আমরা গ্রামের উন্নয়নেও অংশ নেব।”
মহিলাদের পদক্ষেপে পুরুষদের সমর্থনের হাত:
গ্রামের মহিলাদের এই বিশাল পদক্ষেপে গ্রামের পুরুষরাও সমর্থন জানিয়েছেন। ক্লাবের মহিলা সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা গ্রামের পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে চায়। সেটা উন্নয়নমূলক কাজ হোক কিংবা সামাজিক যে কোনো সমস্যার সমাধান, সব ক্ষেত্রেই এই গ্রামের ক্লাবের মহিলারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
চাঁদরা ব্লকের সনকাডাঙ্গা গ্রামের লক্ষীর ভান্ডার ক্লাবের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে তারা আরো অনেক বেশি সামাজিক এবং অর্থনৈতিক কল্যাণমূলক কাজের সাথে যুক্ত হতে চান। বিশেষ করে নারীদের শিক্ষার প্রসার, গ্রামের মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া এই ক্লাবের মূল উদ্দেশ্য হবে।
বিগত প্রায় দুই বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।