Aadhar Card Row: রাজ্যে ফের আধার-জট, প্রকল্পের নাম বদল ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত!
Aadhar Card Row:
Aadhar Card Row: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল ঘিরে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের যথেষ্ট সংঘাত চলেছিল। বিগত কয়েক বছর ধরেই বরাদ্দ-অনুমোদন বন্ধ রেখে সেই জটিলতা বরাদ্দ-অনুমোদন বন্ধ রেখে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রকল্পগুলির আগের কেন্দ্রীয় নামই ফের চালু করতে হয়েছে রাজ্যকে।
রাজ্য ও কেন্দ্রের সঙ্গে ফের নাম-জট? এর জন্যই কি কেন্দ্র রাজ্যের আধার পরিচালনার অনুমোদন আটকাচ্ছে! প্রশাসনের অন্দরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা অভিন্ন ওই পরিচয়পত্রের যাচাই-সংশোধন শুরুর মুখে এ নিয়ে তীব্র চর্চা হচ্ছে। Aadhar Card Row
রাজ্য হোক বা কেন্দ্র—এখন সরকারি কাজ, বিশেষ করে সাধারণ মানুষের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে আধার যাচাই কার্যত বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে। কিন্তু বেশিভাগ ক্ষেত্রে উপভোক্তাদেরও হয়রান হতে হচ্ছে আধার-তথ্যের গরমিল, ‘ভুয়ো’ আধারের অভিযোগ ইত্যাদির কারণে । তাছাড়াও প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, কেন্দ্র সরকার বাংলাদেশ পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভুয়ো বা দাবিদারহীন আধার কার্ড চিহ্নিত করার কাজে আরও গতি বাড়ানোর কথা রাজ্যগুলিকে জানাচ্ছেন। এহেন অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার অতীতে আধারের ‘রেজিস্ট্রার’ হতে না চাইলেও, এখন আধার পরিষেবা পরিচালনার অনুমোদন পেতে চাইছেন। কিন্তু তা ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের’ (BSK) অধীনে হলে তা নিয়ে কেন্দ্রের আপত্তি নেই। এমনকি, সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামোর জন্য প্রাথমিক ভাবে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছিল। তবু প্রায় দেড় বছর হতে চললেও কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি আধার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ইউআইডিএআই’ চূড়ান্ত ছাড়পত্র। তার ফলে প্রশাসনের অন্দরে চর্চার জন্ম নিয়েছে, তবে কি রাজ্যের স্থির করা ‘BSK’-নাম নিয়ে আপত্তিতেই অনুমোদন অধরা থাকছে! এ নিয়ে রাজ্যকে চিঠিও পাঠিয়েছে কেন্দ্র। Aadhar Card Row
Table of Contents

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল ঘিরে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের যথেষ্ট সংঘাত চলেছিল। বিগত কয়েক বছর ধরেই বরাদ্দ-অনুমোদন বন্ধ রেখে সেই জটিলতা বরাদ্দ-অনুমোদন বন্ধ রেখে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রকল্পগুলির আগের কেন্দ্রীয় নামই ফের চালু করতে হয়েছে রাজ্যকে। প্রশাসনের একাংশের অনুমান, রাজ্য সরকার কেন্দ্রের তথ্যমিত্র কেন্দ্রগুলির সমান্তরাল পরিকাঠামো তৈরি করেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র। তার সাধারণ মানুষ পরিচালিত হচ্ছে প্রশাসনিক সংস্কার ও রাজ্যের কর্মীবর্গ দফতরের অধীনেই। তাছাড়াও অতীতে কেন্দ্র আধারের রেজিস্ট্রার হতে বহুবার প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্যকে। সেই সময় রাজ্য তাতে রাজি হয়নি। এই অবস্থায় কেন্দ্রের এই অবস্থান খুবই অর্থবহ।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে প্রায় সব জেলা মিলিয়ে 2139টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (BSK) আধার পরিষেবার জন্য চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে রয়েছে 1139 এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে 1 হাজারটি। অনুমোদন পেতে রাজ্য যখন আলোচনা চালাচ্ছিল, তখন কেন্দ্রের প্রস্তাব ছিল, যন্ত্রাংশ এবং লোকবল দিতে হবে রাজ্যকেই। যে লোকবল নির্দিষ্ট হবে ওই কাজে, কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সংশাপত্র দেবেন। তবেই তাঁরা আধার-দায়িত্ব সামলাতে পারবেন। দু’বছরের মেয়াদে থাকবে সেই সংশাপত্র। তার পরে সেটির পুনর্নবীকরণ হবে। এই সব কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এমন প্রায় 4 হাজার কর্মীর সংশাপত্র এসে গিয়েছে প্রায় দেড় বছর আগেই। কিন্তু এখনও চূড়ান্ত ছাড়পত্র না থাকায় কাজটাই শুরু করা যাচ্ছে না। এর ফলে যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
রাজ্যের এক কর্তার বক্তব্য, “আধার সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে উপভোক্তাকে কাজের জন্য কিছু অর্থ দিতে হয় ফি হিসেবে। কিন্তু রাজ্য তা একেবারে বিনামূল্যে করার প্রস্তুত দেন। তাছাড়া আধার সহায়তা কেন্দ্র নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় রয়েছে। অথচ প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র-র উপস্থিতি রয়েছে। কেন্দ্রের এই ছাড়পত্র পাওয়া গেলে প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হতেন।”
এছাড়াও অন্য এক রাজ্যের কর্তার কথায়, “এই পরিকাঠামো তৈরিতে রাজ্যের দেওয়ার কথা প্রায় 23 কোটি টাকা। তার মধ্যে দেওয়া হয়েছে প্রায় 16 কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারেরও 5 কোটি টাকা দেওয়ার কথা। ইতিমধ্যে তারাও প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছে। যন্ত্রাংশ কেনা সম্পূর্ণ, পরিকাঠামো প্রস্তুত, কাজ পরিচালনার জন্য লোকবলও তৈরি। তার পরেও কেন কেন্দ্রের ছাড়পত্র মিলছে না, তা স্পষ্ট নয়।” যদিও আধার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ইউআইডিএআই’-এর তরফে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সেখানকার এক কর্তার দাবি, “বিষয়টি আমাদের জানা নেই।”
আরও পড়ুন: Bangla Shashya Bima 2024: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য নতুন আশার আলো! বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।