Awas Yojona 6 New Rules: আবাস যোজনায় জারি হলো নতুন ৬ টি নিয়ম! ব্যাংকে ঢুকবে না টাকা, জানুন বিস্তারিত বিষয়।
Awas Yojona 6 New Rules:
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে জারি করা হলো নতুন নিয়ম। রাজ্য সরকার জানালেন বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের ক্ষেত্রে সেভিংস অ্যাকাউন্ট ছাড়া মিলবে না ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা। আর কিছু দিনের মধ্যে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাকা বাড়ি তৈরির জন্য উপভোক্তাদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ক্রিয়াকলাপ যথাক্রমে শুরু হতে চলেছে।
তবে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে উপভোক্তাদের। বাংলার বাড়ির টাকা উপভোক্তাদের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত দপ্তর বেশ কিছু কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে। এই বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে আবাস প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করার পরিকল্পনা থাকলেও, তার আগে প্রতিটি জেলার প্রশাসনকে নির্দিষ্ট ছ’টি নিয়ম মেনে চলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। Awas Yojona 6 New Rules
Table of Contents
রাজ্য সরকারের ৬ টি নিয়ম:
রাজ্যের আবাস যোজনার ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে প্রথম কিস্তির টাকা বিতরণের আগে নবান্ন থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরে যে ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ পালন করতে দিয়েছে, সেগুলো হলো নিম্নলিখিত—
১. সেভিংস অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক– বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অবশ্যই সেভিংস অ্যাকাউন্ট হতে হবে।
২. অ্যাকাউন্টের সক্রিয়তা নিশ্চিতকরণ– উপভোক্তার অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে আছে কিনা, তা যাচাই করা হবে।
৩. আধার সংযুক্তি– অ্যাকাউন্টটি অবশ্যই আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে।

৪. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য যাচাই– সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। Awas Yojona 6 New Rules
৫. ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল– যদি কোনও উপভোক্তা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ভুল তথ্য প্রদান করেন, তবে সেই আবেদন বাতিল করা হবে।
৬. যৌথ পর্যবেক্ষণ– জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের যৌথ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
প্রথম কিস্তি বিতরণের প্রক্রিয়া:
নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, ১৫ ই ডিসেম্বর থেকে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। প্রতিটি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এই টাকা পাঠানো হবে।
প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরে উপভোক্তাদের ঘর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করে তবেই পরবর্তী কিস্তির টাকা দেওয়া হবে।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার জানিয়েছেন, “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে কোনও অবস্থাতেই একজন উপভোক্তার টাকা অন্য কারও অ্যাকাউন্টে চলে না যায়। এজন্য সমস্ত স্তরে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।”
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট যাচাই প্রক্রিয়া:
বাংলা আবাস যোজনার চূড়ান্ত তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জেলা প্রশাসনের দ্বারা যাচাই করা হবে। এই যাচাইয়ের আওতায় আসবে—
1) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রথম এবং দ্বিতীয় হোল্ডারের নাম।
2) অ্যাকাউন্ট সক্রিয় নাকি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছে সেই বিষয়।
3) অ্যাকাউন্টটি আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করা হয়েছে কিনা।
এই সব কিছু যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই চূড়ান্ত তালিকা অনুমোদন করা হবে। Awas Yojona 6 New Rules
আরও পড়ুন- Best Agriculture Bank Loan 2024: সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের জন্য ১১৩ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর!
উপভোক্তাদের জন্য সতর্ক বার্তা:
উপভোক্তাদের উদ্দেশ্যে পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে বিশেষ বার্তা–
১) যে সকল ব্যক্তিদের সেভিংস অ্যাকাউন্ট এখনও আধার কার্ডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় নি, তাদের উদ্দেশ্যে জানানো হয়েছে, প্রথমে অতিদ্রুত এই কাজটি সম্পন্ন করুন।
২) নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যগুলো সঠিক এবং নির্ভুলভাবে প্রদান করুন। ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হবে, যার ফলে আপনার ঘরের টাকা থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন। Awas Yojona 6 New Rules
উপভোক্তাদের জন্য প্রাসঙ্গিক নির্দেশাবলী:
১. প্রতিটি উপভোক্তার উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, তাদের অবশ্যই সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
২. এর পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় অবস্থায় থাকতে হবে।
৩. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক যুক্ত হতে হবে।
৪. ব্যাঙ্ক সম্পর্কিত সমস্ত যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই চূড়ান্ত তালিকায় উপভোক্তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
৫. জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত দপ্তর যৌথভাবে এই প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করবেন।
বাংলার বাড়ি প্রকল্প রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই প্রকল্প নিয়ে সরকার সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কাজ করছে যাতে প্রকৃত উপভোক্তারাই এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
পঞ্চায়েত দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ চেষ্টায় এই প্রকল্পের কাজ আরও স্বচ্ছ এবং সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়। রাজ্যের উন্নয়নে এই প্রকল্প এক গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ হয়ে থাকবে।

বিগত প্রায় ৩ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।