Bangla Awas Yojana 2024: বাংলা আবাস সার্ভে তে অসংখ্য আবেদন বাতিল ? ভুল করেও এই ভুল গুলো করবেন না।
Bangl Awas Yojana 2024:
রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের জন্য বাড়ি তৈরির আর্থিক সহায়তা কেন্দ্র থেকে না পাওয়ায় রাজ্য সরকার নিজ উদ্যোগে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন। এই ডিসেম্বরেই চালু হবে সার্ভে।
এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের গরীব ও প্রান্তিক মানুষদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ করা।কিন্তু কারা পাবেন এই ঘর সেই নিয়ে চলছে পরিকল্পনা। এই বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। Bangla Awas Yojana 2024
উপভোক্তা তালিকা তৈরিতে কনা মাত্র ত্রুটি রাখতে নারাজ রাজ্য সরকার। তাই যাচাই প্রক্রিয়াটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন করার কাজ ইতিমধ্যেই চালু করে দিয়েছেন সরকার। উপনির্বাচনের জন্য কিছু এলাকা বাদ রেখে সারা রাজ্য জুড়েই চলছে এই যাচাই প্রক্রিয়া। Bangla Awas Yojana 2024
Table of Contents
প্রক্রিয়ার অগ্রগতি:
সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই সমীক্ষায় ইতিমধ্যেই যাচাই সম্পন্ন হয়েছে ২ লক্ষ বাড়ির। এর মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ি ‘অযোগ্য’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।অর্থাৎ প্রথম দুই দিনে যাচাই হওয়া ২ লক্ষ পরিবারের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজারের নাম তালিকা থেকে বাদও পড়েছে ইতিমধ্যেই। কেন এই নামগুলো বাদ যাচ্ছে? তা নিয়েও রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট কারণ। সেগুলি কী কী দেখুন।
পরিস্থিতির পরিবর্তন:
২০২২ সালে হওয়া সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ১১ লক্ষ্য মানুষ এই অভ্যাস যোজনার অন্তর্গত হন ও ঘর পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন।কিন্তু দুই বছরে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। কেউ ইতিমধ্যেই বাড়ি করে নিয়েছেন আবার কেউ অন্যত্র চলে গিয়েছেন। Bangla Awas Yojana 2024
পাশাপাশি কেন্দ্রের নিয়মাবলীতেও এসেছে পরিবর্তন। পরিবারের কারোর ব্যক্তিগত আয় যদি ১৫০০০ বা তার বেশি হয় তবে সে এই আবাস যোজনার অন্তর্গত পাকা ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন ও অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। Bangla Awas Yojana 2024
প্রয়োজনীয় কিছু শর্ত:
উপভোক্তাদের যাচাই করার জন্য মোট ১১টি শর্ত নির্ধারিত হয়েছে। এই শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে:
1. উপভোক্তার নিজের পাকা বাড়ি আছে কিনা?
2. নিজস্ব কোন মোটরচালিত তিন/চার চাকার গাড়ি আছে কিনা ?
3. তিন চাকা/ চার চাকার কোনো কৃষিজ কোনো সরঞ্জাম আছে কিনা ?
4. পরিবারের কোনো সদস্য সরকারি চাকরি করেন কিনা ?
5. পরিবারের সদস্যের আয় ১৫,০০০ টাকার বেশি কিনা?
6. আয়কর প্রদান করা হয় কিনা?
7. উপভোক্তার ২.৫ একর বা তার বেশি সেচযোগ্য জমি আছে কিনা?
8. ৫ একর বা তার বেশি সেচবিহীন জমি রয়েছে কিনা?
9. কোনো সদস্য আগের আবাসিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন কিনা? Bangla Awas Yojana 2024
১০. উপোক্তার নিজের নামে ৫ একর বা তার বেশি সেচবিহীন জমির মালিক আছে কিনা?
১১. পরিবারে কোন সদস্য আগে থেকে কোন আবাসিক প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন কিনা?
রাজ্য সরকারের উদ্যোগ:
পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেছেন কেন্দ্রের থেকে সহায়তা না পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি নিজেই রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
তাঁর লক্ষ্য যেন রাজ্যের প্রকৃত ভোক্তা রাই এই সহায়তা পান। সেজন্যই এত তোড়জোড়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের আর্থ – সামাজিক অবস্থার উন্নতির ফলে অনেকেই নিজেদের থাকার জন্য পাকা বাড়ি করে নিয়েছেন সুতরাং তারা এই প্রকল্প থেকে বাদ যাবেন।
বর্তমান তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া:
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে হওয়া শেষ সমীক্ষায় পাওয়া চূড়ান্ত তালিকায় প্রায় ৩৪ লক্ষ্য মানুষের নাম জমা পরে। এগুলো এখনো যাচাই করা হচ্ছে। এরপরেও বিভিন্ন মামলা – আদালতের পর আরো ১ লক্ষ মানুষের নাম জমা পরে। বর্তমানে মোট ৩৫ লক্ষ্য নাম জমা পড়েছে যেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে আসলেই কারা যোগ্য প্রাপক।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী সেলে যারা সরাসরি আবেদন করেছিলেন যে তাদের ঘর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকাটিও ভালো মতো যাচাই করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত তালিকা:
এই যাচাই প্রক্রিয়া ৩০ অক্টোবরে শেষ হবে এবং তারপর প্রকাশিত হবে একটি চূড়ান্ত তালিকা যেখানে স্পষ্ট দেখা যাবে কারা কারা পাবেন এই সহায়তা। এই সমীক্ষা নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও রাজ্য সরকার বিশেষভাবে সতর্ক হয়েছেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্য সরকার রাজ্যের প্রান্তিক গরীব মানুষদের মাথার উপর পাকা ছাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন। এর ফলে এইসব বিভাগের মানুষদের কিছুটা সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিগত প্রায় এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।