Cencus of India 2024: ভারতে দীর্ঘ ১৩ বছর পর আবার জনগণনা? বাড়ি বাড়ি গিয়ে কী কী প্রশ্ন করা হচ্ছে? লাগবে এইসব কাগজপত্র।
Cencus of India 2024:
ভারতে দীর্ঘ ১৩ বছর পর শুরু হচ্ছে জনগণনা।শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। জনগণনা যেকোনো দেশেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষা। এই সমীক্ষার দ্বারা প্রাপ্ত জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য দেশের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত হয়।
এই জনগণনা একটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার আর দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার পর ২০২৪ এ এসে শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই সমীক্ষাটি শেষ হতে সময় লেগে যাবে ২০২৬ এর মার্চ মাস অবধি।
Table of Contents
জনগণনার গুরুত্ব:
জনগণনা হলো দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সমীক্ষা যার দ্বারা দেশের মোট জনসংখ্যার পরিমাণ, জনগণের সামাজিক – রাজনৈতিক – অর্থনৈতিক অবস্থা সমন্ধে অবগত হওয়া যায়। যার দ্বারা দেশের বিভিন্ন প্রকল্পের নীতি নির্ধারণ, জনগণকে পরিষেবা প্রদান করা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন খাতে কী খরচ হবে এর সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।
২০২৪ এ জনগণনার কারণ:
২০২১ সালে করোনা অতিমারির জন্য ১০ বছর পর পর হওয়া আদমসুমারির কাজ ওই সময় স্থগিত রাখা হয়।২০২৩ সালেও মোদী সরকারের নির্বাচন হওয়ার আগেই হয়নি জনগণনা। তাই এবার ২০২৪ সালে শুরু হচ্ছে এই সমীক্ষা আর দীর্ঘ দের বছর চলবে এই কাজ।
কেমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে?:
জনগণনা চলাকালীন দেশের সব প্রান্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি ও বেসরকারি আধিকারিক রা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবেন। বিভিন্ন প্রশ্নও করা যেতে পারে যেমন:
. বাড়িতে মোট সদস্য সংখ্যা কত?
. সদস্যদের নাম কী কী?
. সদস্যদের বয়স ও লিঙ্গ সংক্রান্ত তথ্য।
. পরিবারের মূল জীবিকা কী?
. বার্ষিক আয় কত হয়?
এছাড়াও বিভিন্ন পারিবারিক ও ব্যক্তিগত তথ্য প্রয়োজন পড়বে এই সমীক্ষায়।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
জনগণনায় বিশেষ কিছু কাগজ পত্রের দরকার হয়না।তবে বাড়ির সব সদস্যদের আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড দেখতে চাইতে পারেন আধিকারিকরা তাই এই দুটো ডকুমেন্ট কাছে রাখবেন। Cencus of India
রিপোর্ট প্রকাশের তারিখ :
২০২৪ সালে শুরু হওয়া এই জনগণনা মোটামুটি দের বছর চলবে এবং এই সমীক্ষায় পাওয়া যাবতীয় তথ্যের ফাইনাল রিপোর্ট প্রকাশ হবে ২০২৬ এর মার্চ মাসে বলে সূত্রের খবর।
পূর্ববর্তী জনসংখ্যা কবে হয়েছিল?
২০১১ সালে অনুষ্টিত হয়েছিল শেষবারের মতো এই জনসংখ্যার গণনা সমীক্ষা। ১০ বছর পর পর করা হয়ে থাকে এই গণনা।কিন্তু ২০২১ সালে কোভিড -১৯ অতিমারি থাকার কারণে স্থগিত হয়ে যায় এই কর্মসূচি যা আবার ২০২৪ এ শুরু হচ্ছে।
এই নতুন জনগণনা থেকে প্রাপ্ত তথ্য দেশের অর্থনৈতিক – সামাজিক রীতি, আইন প্রণয়নে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে।
বিগত প্রায় এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।