Crop insurance 2024 : কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা কবে নাগাদ দেওয়া হবে? কত টাকা পাবে? কোন কোন জেলা পাবে এই ক্ষতিপূরণ? বিস্তারিত জানুন।
Crop insurance 2024 :
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লণ্ডভণ্ড প্রাকৃতিক তথা অর্থনৈতিক সম্পদ। প্রায় এক লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। কৃষি সংকটে ভুগছে বাংলা। দানার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
প্রবল ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণের ফলে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা বিশেষত হাওড়া, পূর্ব মেদনীপুর, হুগলি সহ নানা জায়গায় প্রায় এক লক্ষ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাংলায় নেমে এলো কৃষি সংকট! Crop insurance 2024
Table of Contents
কৃষি দপ্তরের প্রাথমিক সমীক্ষা অনুযায়ী উঠে এসেছে উক্ত তথ্যটি। সূত্রের খবর অনুযায়ী সোমবার থেকে কৃষি আধিকারিকরা মাঠে নেমে ক্ষয়ক্ষতির ঠিক পরিমাণ জরিপ করে দেখবেন ও সঠিক তথ্য দেবেন।
পূর্ব মেদনীপুরের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই জেলাতেই প্রায় ২০০০০ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
পূর্ব মেদনীপুরের প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এবং যার মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানেরই চাষ হয়েছিল।
ব্যাপক বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গার ধান গাছ নুইয়ে পড়েছে যাতে আরো ক্ষতির আশঙ্কা জন্মাচ্ছে। এছাড়াও প্রায় ৩০০০ হেক্টর জমিতে ফুল,সবজি,পান চাষের উপরও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
এই বৃষ্টির তীব্রতার কারণে শুধু ফসলই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরে মাছের ভেড়ি ও পুকুরগুলোও ভেসে গেছে। গ্রামীণ এলাকার রাস্তাঘাট সম্পূর্ণভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে, ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ধান ও মাছ উভয় ক্ষেত্রেই ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।হুগলি জেলাতেও প্রায় ১২০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে সবজি এবং ধানের বীজতলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকাগুলোতেও চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাগনান এবং দেউলটি অঞ্চলে ফুলচাষের জমিগুলো জলমগ্ন হওয়ায় ফসল পচে গেছে।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সাহায্যের জন্য রাজ্য সরকার বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। রাজ্যের তরফ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শস্য বিমার আবেদনের সময়সীমা আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে, যাতে তাঁরা আর্থিক ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারেন।
মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা দের নির্দেশ দিয়েছেন কোনো কৃষক যাতে এই ক্ষতিপূরণের টাকা থেকে বঞ্চিত না হন।
রোজ বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকেরা নবান্নে ফোন করে তাদের ফসলের ক্ষতির পরিমাণ এর তথ্য প্রদান করছেন । কৃষি দপ্তরের মুখ্য সচিব ওয়ারসিং মিনা বিষয়টি নিয়ে খোদ তদারকি করছেন। Crop insurance 2024
তবে কৃষি দপ্তর জানিয়েছে এখনো তাদের হাতে পূর্ণাঙ্গ সঠিক রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি। পুরোপুরি বৃষ্টি কমলে এবং রোদ উঠলে ভালো করে জমি জরিপ করে সঠিক রিপোর্ট জানা যাবে। তারপর সঠিক ভাবে বলা যাবে ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি করেছে দানা।
ক্ষতিপূরণের টাকা পাবে কোন কোন জেলা? :
প্রাথমিক ভাবে যে যে জেলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেই সব জেলাই ক্ষতিপূরণ পাবে তবে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে – পূর্ব মেদনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর , উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম, বর্ধমান এসব জেলাগুলোয়।
এছাড়া আরো যেসব জেলায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে সকল জেলাই পাবে ক্ষতিপূরণ।
কবে দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ?
বর্তমানে বাংলা শস্য বীমার আবেদন চলছে। আগে এই আবেদন জমা করার শেষ তারিখ ছিল ৩১ সে অক্টোবর তবে এখন সেটা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরো একমাস বাড়িয়ে ৩০ সে নভেম্বর করা হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত কৃষকেরা আবেদন করতে পারবে শস্য বীমা স্কিমে।
তারপর আবেদন গুলি খতিয়ে দেখে কোন কোন কৃষক টাকা পাওয়ার যোগ্য তার লিস্ট বানানো হবে। তারপর যে কৃষকের যতটা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, যত পরিমাণ জমির উপর বীমা করা রয়েছে সেই হিসেবে কৃষকদের একাউন্টে টাকা পাঠানো চালু হবে। Crop insurance 2024
কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এই বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষে অর্থাৎ ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে থেকে একাউন্টে টাকা পাঠানো শুরু হবে।
সবাই কত টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবে? :
কে কত টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবে তার পুরোটা নির্ভর করছে কার এলাকায় কত জমির ফসল নষ্ট হয়েছে এবং কার কত পরিমাণ ফসলের উপর শস্য বীমা করা রয়েছে সেই হিসেবে। যার যত পরিমাণ জমির ক্ষতি হয়েছে সে সেই পরিমাণ টাকা পাবেন।
ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণের হিসেব নিকেশ এখনো পুরোটা করা হয় উঠেনি। পূর্ণাঙ্গ জরিপের পর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে এবং সেই রিপোর্ট প্রকাশের পর ক্ষতিপূরণের পরিমাণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন- TRAI New OTP Rules: সিম কার্ড নিয়ে কড়া নিয়ম চালু, নিয়ম না মানলে গ্রাহকরা বিপদে পড়বেন!

বিগত প্রায় এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।