Digital Census Recruitment 2026
Digital Census Recruitment 2026: ভারতের সাধারণত প্রতি দশ বছর অন্তর জাতীয় জনগণনা হয়। সেই রীতি মেনে জাতীয় জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে সেই সময়ে জনগণনা স্থগিত রাখা হয়েছিল। তার পরে চার বছর কেটে গিয়েছে। অবশেষে কেন্দ্র সরকার জাতীয় জনগণনা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল। প্রায় ১৫ বছর পর ভারতে আবারও শুরু হতে চলেছে জাতীয় জনগণনা, তাও আবার এবার প্রথমবার হতে চলেছে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে। দেশের প্রতিটি গ্রাম ও শহরের জন্য তৈরি হবে জিও-ট্যাগযুক্ত নির্ভুল মানচিত্র। এই কর্মকান্ডের জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
ডিজিটাল জনগণনার বিবরণ:
কেন্দ্রের প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ নিখুঁত তথ্য সংগ্রহের জন্য এবং দেশের রাজ্য, জেলা, শহর, গ্রাম প্রতিটি জায়গার নির্ভুল মানচিত্র তৈরি করতে এবার দেশ জুড়ে অনলাইন সমীক্ষাকেই ভরসা করতে চাইছে মোদি সরকার। প্রায় ৬ লক্ষ ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে প্রতিটি বাড়ির রজিও-ট্যাগিংয়ের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যাতে অবস্থান সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা যায়।
উল্লেখিত বিষয় হল, এই কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের প্রতিবেদনটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে পড়ুন। Digital Census Recruitment 2026.
কর্মী নিয়োগ ও কোন কোন বিষয় নিয়ে গনণা হবে?
দেশে যেহেতু প্রথমবার দেশে অনলাইনের মাধ্যমে জনগণনা করা হবে। তাই সেই জন্য জনগণনা কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করা হবে কেন্দ্রর তরফ থেকে।
তিনটি বিষয়ের উপর জনগণনা হবে। এক, বাড়িতে ব্যক্তিসংখ্যা, তাদের আবাস সংখ্যা ও এক আবাসে কতজন বসবাস করেন সেটা। সেই সঙ্গে জাতি জনগণনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জনগণনায় কর্মী নিয়োগের বিবরণ:
•কর্মীর সংখ্যা: জনগণনার জন্য বিপুল সংখ্যক পার্ট-টাইম কর্মী নিয়োগ করা হবে।
•বেতন: মাসিক ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা।
•প্রশিক্ষণ: কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ ও আপলোড করতে হবে।
•প্রযুক্তি: জিও-ট্যাগিং এবং Geospatial Technology ব্যবহার করে নির্ভুল তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
নিয়োগের যোগ্যতা:
কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, জন গণনার জন্য আবেদনকারীদের বেশ কয়েকটি যোগ্যতার কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো-
•শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম উচ্চমাধ্যমিক (১০+২) পাশ।
•দক্ষতা: কম্পিউটার বা স্মার্টফোন চালানোর দক্ষতা থাকতে হবে।
•অগ্রাধিকার: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য, সরকারি কর্মচারী, পঞ্চায়েত বা পৌরসভার কর্মী এবং শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে।
জনগণনার সময়সূচী:
•প্রথম ধাপ (হাউস লিস্টিং): ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে।
•মূল ধাপ: ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্যক্তিগত তথ্য ও জাত সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ।
•শেষ ধাপ: ২০২৭ সালের মার্চে জন গণনা শেষ হবে এবং ফলাফল প্রকাশিত হবে।

এই জনগণনার গুরুত্বপূর্ণ কেন?
ভারতের এই জন গণনা শুধুমাত্র জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি দেশের প্রতিটি অঞ্চলের নির্ভুল মানচিত্র তৈরি করবে, যা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে এই তথ্য আরও তারাতারি এবং নির্ভুলভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। তবে এই ঐতিহাসিক উদ্যোগে অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা প্রস্তুত হন এবং এই সুযোগকে তারাতারি কাজে লাগান।

বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।