Election Commission
Election Commission: আগামী আগষ্ট মাস থেকেই বাংলার ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) বা বিশেষ সংশোধনের এর কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বাংলা নিয়ে কাজ শুরু করার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস একগুচ্ছ আপত্তির মন্তব্য?
গত মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআর নিয়ে একগুচ্ছ আপত্তির কথা নির্বাচন কমিশনের সামনে তুলে ধরেছে। সেখানে দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে যে সমস্ত দাবি করা হয়েছিল তার মধ্যে কমিশনের ২০০৩ সালের তালিকার উপর ভিত্তি করে এসআইআরের কাজ শুরুর নির্দেশিকার বিরোধিতা করে, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকাকে ভিত্তি করে এসাইআর করার দাবি করা হয়। সূত্রের খবর, তাতে মাঝামাঝি কোনও পন্থা অবলম্বন করার বিষয়ে কমিশনের অন্দরে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে।
কমিশনের নির্দেশিকা:
এদিকে গত বুধবার কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বিহার নির্বাচনের এসআইআর নিয়ে অনুমোদনহীন কোনও ব্যক্তিকে ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনার জন্য কমিশনের তরফ থেকে তার জন্য সময় দেওয়া হবে না। তবে যদি কোন রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতা তথা দলের সভাপতি এই বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করার জন্য সময় চান তাহলে কমিশন তা দেন। কোন কারণ বসতো কোন দলের সভাপতি না আসতে পারে তাহলে তাঁর মনোনীত দু-জনকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধীরা। বিহার নির্বাচনের জন্য কমিশনের তরফ থেকে এসআইআরের ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে কমিশনকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে যে, কমিশন যদিও চাপের মুখে পড়েই অনুমোদনহীন ব্যক্তিকে সময় না দেওয়ার কথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাতে কমিশন বাধ্য হয়েছেন।

বৈঠকের পরে দলীয় নেতাদের মন্তব্য:
এদিনই ইন্ডিয়া ব্লকের পক্ষ থেকে কংগ্রেস-সহ ১১টি দলের ২০ জন সদস্য কমিশনে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে মাত্র দুই কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি ও অখিলেশ সিংকে বৈঠকে ঢুকতে দেওয়া হয়েছিল। জয়রাম রমেশ, পবন খেড়ার মতো কংগ্রেস নেতা-সহ বাকিরা বাইরেই অপেক্ষা করছিলেন। বৈঠকের পরে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সিংভি কমিশনের নির্দেশিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এই সিদ্ধান্তের কোনও আইনি ভিত্তি নেই। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন যে, কমিশনের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের রাজনৈতিকদলগুলির সঙ্গে কমিশনের আলোচনার সুযোগ কমে যাবে। ক্ষোভ প্রকাশ করে জয়রাম রমেশ জানান, নির্বাচন কমিশন বিরোধী দলের অধিকার খর্ব করছে। দেশের গণতন্ত্রকেই যেন অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, 32000 Teacher Case: কলকাতা হাইকোর্টে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে যা ঘটল….

বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।