Government work
Government work: বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিধানসভা নির্বাচন। হাতে মাত্র আর কয়েকটা মাস বাকি। তাই জনগণের নজর কাড়তে এখন থেকেই উঠে পড়ে লেগেছে শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধী দলগুলি। এরজন্য চলছে একের পর এক দলীয় বৈঠক। কিন্তু সরকারী প্রকল্পগুলি নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করে আসছেন। অভিযোগ একটাই, আর সেটি হল সরকারি কাজে ব্যাপক নজরদারির অভাব রয়েছে। তাই এবার বড় পদক্ষেপ নিলেন প্রশাসন যা সব দফতরকে সতর্কতা জন্য কড়া শিক্ষা দিতে।
তথ্যের কারচুপি রুখতে নবান্নের বড় উদ্যোগ
সূত্রের খবর, গত সোমবার রাজ্যের অর্থ দফতর এর তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে জানানো হয়েছিল যে, এবার থেকে প্রতিটি দফতরের সমস্ত সরকারি প্রকল্পের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য ইউনিফায়েড প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম পোর্টালে (UPMS Portal) নথিভুক্ত করতে হবে। এমনকি গত মঙ্গলবার থেকে এই নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মাধ্যমে কোনো প্রকল্পের তথ্যের কারচুপি আর হবে না।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, ‘‘নির্বাচনের জন্য নয়, শুধুমাত্র সরকারি প্রকল্পের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাজের তারাতারি গতিশীলতা বজায় রাখতেই রাজ্য সরকার এই রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।”
রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা কী বলছেন?
এমনকি রাজ্য সরকারের প্রথম সারির আধিকারিকদের মুখে এই একই কথা শোনা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকের মন্তব্য, গ্রামীণ বাংলায় সরকারের কাজ যাতে তারাতারি হয়, সাধারণ মানুষের কাছে যাতে সরকার সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে যায়, প্রতিটি স্তরে যাতে রাজনৈতিক সুবিধা পৌঁছয় সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।
শাসকদলের মন্তব্য:
শাসকদলের একটি অংশ মনে করেন, সরকারি কাজে সরকারি কর্মীরা ধীর গতিতে কাজ করার জন্য ‘ফলো আপ’ প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে হচ্ছে না। যার ফলে ‘নেতিবাচক প্রভাব’ গিয়ে পড়ছে সকলের উপর, এই জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া। কিন্তু সমালোচকদের মতে প্রশাসনের এই উদ্যোগ আদতে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটকে টার্গেট রেখেই করা হচ্ছে। সবটাই ভোট আদায়ের পন্থা।
সরকারের বিশেষ অ্যাপ চালু:
প্রসঙ্গত, এত দিন রাজ্য সরকারের পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, সেচ, জলসম্পদ, কেএমডিএ এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের অধীন সমস্ত প্রকল্পের তথ্য UPMS পোর্টালে দিতে হত। তবে এবার সমস্ত প্রকল্পের নথি এবং প্রতি দিনের খতিয়ান তুলে ধরতে হবে। সবটাই দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। আর তাই রাজ্য সরকার সেই লক্ষ্যে সরকারি আধিকারিকদের জন্য বিশেষ অ্যাপেরও বন্দোবস্ত করছে। যার মাধ্যমে সরকারি আধিকারিকরা ঘরে বসেও রিপোর্ট জমা দেওয়ার ও নেওয়ার কাজ শেষ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রাজ্যের বিদ্যালয়ে গরমের ছুটি বাড়াল, কবে? বিস্তারিত জানুন।
বিগত প্রায় ২ বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।