Krishak Bandhu Payment Released Today: ঢুকে গেলো 2000/5000 টাকা।
Krishak Bandhu Payment Released Today
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দ্বারা পরিচালিত কৃষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন প্রকল্প হলো কৃষক বন্ধু প্রকল্প। অর্থাৎ এই প্রকল্প শুধুমাত্র কৃষকদেরকে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের যত কৃষক আছে সকলেই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবে। তবে অবশ্যই এই প্রকল্পের কিছু নিয়মাবলী রয়েছে সেগুলো মানতে হবে সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করতে পারলেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে।
Table of Contents
আজকে থেকে টাকা দেওয়া শুরু হলো মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অফিশিয়াল টুইটার একাউন্ট থেকে এই ঘোষণা করে বলেন –
আরও পড়ুন- Anganwadi Recruitment 2024 উচ্চমাধ্যমিক পাশে রাজ্যে ১৩ হাজার Anganwadi কর্মী নিয়োগ!
Krishak Bandhu Payment Released Today
আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, আমাদের কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে আমরা রাজ্যজুড়ে কৃষক ও বর্গাদারদের প্রতিবছর খরিফ ও রবি মরসুমে চাষের সুবিধার জন্য যে সহায়তা প্রদান করি তারই অঙ্গ হিসেবে এবারের আসন্ন খরিফ মরসুমের জন্য রাজ্যের ১ কোটি ৫ লক্ষ কৃষক ও বর্গাদারকে সহায়তা প্রদান আজ থেকে শুরু করা হল। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি মোট ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বছরের শেষের দিকে রবি মরসুমের জন্যও একই পরিমাণ টাকা দেওয়া হবে।
কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের ও বর্গাদারদের বছরে দুই কিস্তিতে একর প্রতি ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের কম জমি আছে, তাঁরাও আনুপাতিক হারে (ন্যূনতম ৪ হাজার টাকা) সহায়তা পান। ২০১৯ সালে চালু হবার পর থেকে এই প্রকল্পে মোট ১৮ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা আমরা আমাদের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এজন্য আমি গর্বিত!
শুধু তাই নয়, ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কোনো কৃষক মারা গেলে তাঁর পরিবারকে সামাজিক সুরক্ষা দেবার উদ্দেশ্যে ২ লক্ষ টাকা সহায়তাও দেওয়া হয়। এই খাতেও বাংলার প্রায় ১ লক্ষ ১২ হাজার কৃষক পরিবার মোট ২ হাজার ২৪০ কোটি টাকা সহায়তা পেয়েছেন। আমি সবসময় মনে করি, আমাদের কৃষকরা আমাদের সম্পদ, আমাদের গর্ব। আমাদের সরকার আগামীদিনেও এভাবেই তাঁদের সার্বিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে কাজ করে যাবে।
জয় কিষাণ!
আরও পড়ুন- Aadhar card big update 2024 অবশ্যই ১৪ই জুনের মধ্যে এই কাজ করে ফেলুন!
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আবেদন পদ্ধতি:
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে হলে অবশ্যই আপনাকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে আবেদন করতে হবে। কারণ এই প্রকল্পের আওতায় আসতে হলে অফলাইনেই আবেদন করতে হবে, কোনো রকম অনলাইন পদ্ধতির ব্যবস্থা নেই। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে না গিয়েও আবেদন হয় তবে সেটা সব সময় হয়না। কৃষি দপ্তরে দেখা যায় ক্যাম্প করে অনেক সময় এই প্রকল্পের আবেদন জমা নেওয়া হয়।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে?
কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করতে শুধুমাত্র ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, জমির খতিয়ান, মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হয়। এই প্রকল্পে আবেদন করার সময়ে বা আবেদন জমা করার সময় লাইভ ফটো তোলা হয় তাই একটা পাসপোর্ট সাইজ ফটো দিতে হয়না। আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর সঙ্গে আধার কার্ড লিংক ও সিডিং দুটোই করানো বাধ্যতামুলক নাহলে পরবর্তিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। Krishak Bandhu Payment Released Today
কোন কোন কৃষক এবারের কিস্তির টাকা পাবেনা এবং কেনো?
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের পরবর্তী কিস্তি পেতে অবশ্যই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর সাথে যেমন আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক তেমনি KYC আপটুডেট রাখাও বাধ্যতামুলক। যদি কোনো কৃষক KYC সম্পুর্ণ না করে, সেক্ষেত্রে পরবর্তী কিস্তি তাদের একাউন্ট এ ঢুকবে না। KYC আপটুডেট করতে আপনাকে আপনার ডকুমেন্ট নিয়ে এবং সঙ্গে Self Declaration ফর্ম জমা করতে পারেন আপনার নিকটবর্তী কৃষি দপ্তরে। শুধুমাত্র সেইসব কৃষকদেরকে KYC আপটুডেট করতে বলা হচ্ছে তারাই এই কাজ সম্পূর্ণ করবেন।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস চেক করার ভিডিও – Click Here
কৃষক বন্ধু অফিশিয়াল ওয়েবসাইট লিংক – Click Here
আরও পড়ুন- গুগলপে-ফোনপে UPI লেনদেন করেন? এই 7 নিয়ম মানতে হবে, নাহলে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হবে!
প্রতিনিয়ত খবর পেতে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
বিগত প্রায় চার বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত।