Pm Kisan Amount Increase: বাড়ানো হবে পিএম কিষান যোজনার টাকা! জানুন বিস্তারিত বিষয়সূচি।
Pm Kisan Amount Increase:
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (PM-Kisan) যোজনার অধীনে থাকা কৃষকদের বার্ষিক অনুদান হিসেবে ৬,০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়, যা বছরে তিনবার অর্থাৎ তিনটি কিস্তির মাধ্যমে সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। Pm Kisan Amount Increase
তবে, বহুদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে ২০২৫ সালের বাজেটে এই টাকার পরিমাণ আরও ২০০০ করে বাড়িয়ে তোলা হবে। অর্থাৎ টাকার পরিমাণ ৬০০০ থেকে বেড়ে গিয়ে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে চলেছে। সংবাদ মাধ্যম দ্বারা জানা গিয়েছে যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের পক্ষ থেকে এই টাকার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছে।
এই দাবি বাস্তবায়ন করায় আশায় আশায় বেশিরভাগ কৃষক গোষ্ঠী বর্তমান সময়ে ২০২৫ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারিতে পেশ হতে চলা কেন্দ্রীয় বাজেটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। ২০২৫ সালের বাজেট হবে কেন্দ্রীয় সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই প্রতিটি কৃষকদের প্রত্যাশার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। Pm Kisan Amount Increase
Table of Contents
যোজনার টাকা বৃদ্ধির জন্য কেন দাবি করেছেন কৃষকেরা?
হঠাৎ করে পিএম কিষান যোজনায় কৃষকদের অর্থ বৃদ্ধির দাবি করার পিছনে একটা মুখ্য কারণ রয়েছে সেটা হলো, প্রতিনিয়ত সমাজে সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তেমন ভাবেই কৃষিকাজের ক্ষেত্রেও খরচ অনেকটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সাথে আয় বৃদ্ধির অভাবে দেশের কৃষকদের অনেক বেশি আর্থিক চাপে পড়তে হচ্ছে। আর এই পিএম কিষান যোজনার প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। একই সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলা।
এর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে বছরে ৬,০০০ টাকার সহায়তা কৃষিকাজের জন্য পর্যাপ্ত নয়। কৃষিকাজের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত আধুনিক যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে কৃষিকাজের সার, বীজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণের খরচ দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার কারনে পিএম কিষান যোজনার বার্ষিক অনুদান হিসেবে ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা কৃষকদের জন্য অনেকটা স্বস্তির বার্তা বয়ে আনার ক্ষমতা রাখে। Pm Kisan Amount Increase
প্রকল্পের সরকারি অবস্থান:
চলতি বছর ২০২৪ সালের শুরুতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন যে, মোদী সরকার আরও বেশি কৃষকের কাছে পিএম কিষান যোজনার সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে, সেই সময় এই যোজনার টাকার পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে তেমন ভাবে নির্দিষ্ট কিছু জানান নি।
বর্তমানে জানা গিয়েছে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছেন এই প্রকল্পের বার্ষিক অনুদান বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করবেন। আর যদি সত্যিই এই পরিবর্তন সাফল্য লাভ করে, তো দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক আর্থিক সাহায্যের দ্বারা উপকৃত হবেন। প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে টাকা উপার্জন হবে যা অসহায় কৃষকদের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এবং যার ফলে তারা কৃষিকাজে আরও উন্নত মানের সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারবেন। Pm Kisan Amount Increase
কৃষকদের আশা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
কেন্দ্র সরকারের উদ্যোগে ২০১৯ সালে প্রথম পিএম কিষান যোজনার শুরু হয়েছিলো। আর এই পিএম কিষান প্রকল্পের অধীনে এখনও পর্যন্ত ১৮টি কিস্তির টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। জানানো হয়েছে এই যোজনার ১৯তম কিস্তির টাকা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন্দ্র সরকারের এই পিএম কিষান যোজনা একদিকে যেমন অসহায় কৃষকদের দিকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। ঠিক তেমনই অন্যদিকে গ্রামীণ অর্থনীতিকেও অনেকটা মজবুত করে তুলতে সক্ষম হয়েছে। যদি সত্যিই আগামী বাজেটে পিএম কিষান যোজনার অনুদান হিসেবে টাকার পরিমাণ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়, তো এটি মোদী সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে।
বাজেট ২০২৫: কৃষকদের জন্য আসতে চলেছে সুখবর —
আসছে নতুন বছর ২০২৫ সালের বাজেট নিয়ে কৃষকদের মধ্যে অনেক বেশি আশা রয়েছে। যদি নতুন করে ঘোষণা হয়, তবে সত্যিই এটি হবে মোদী সরকারের তরফ থেকে কৃষকদের জন্য একটি সেরা উপহার। Pm Kisan Amount Increase
বর্তমান পরিস্থিতি যেমন এসে দাঁড়িয়েছে সেখানে, পিএম কিষান যোজনার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই বেশি। মোদী সরকারের এই উদ্যোগ দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও বেশি মজবুত ও উন্নত করে তুলবে এবং আমাদের দেশের কৃষকদের ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল করে তুলবে। এখন সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ২০২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এই তারিখের জন্য। এই দিনই জানা যাবে, মোদী সরকার দেশের অসহায় কৃষকদের দাবি মেনে পিএম কিষান যোজনার টাকার পরিমাণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না।
• প্রয়োজনীয় লিংক –
√ Pm Kisan New Apply – Click Here
বিগত প্রায় দুই বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।