Smart Meter Electricity Bill: রাজ্যে বড় বদল 30 November মধ্যে, সব জায়গায় নতুন স্মার্ট মিটার বসতে চলেছে।
WBSEDCL Smart Meter Electricity Bill in West Bengal
Smart Meter Electricity Bill:- এবার বিরাট বড় ঘোষণা জারি করলো রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীদের জন্য Electric Smart Meter নিয়ে। আগামী 30 November এর মধ্যে রাজ্যের ঘরে ঘরে নতুন স্মার্ট প্রিপেইড বিদ্যুৎ মিটার (Smart meter electricity bill) বসানোর কথা বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ এবং সঠিক বিলিং নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের মনে এই নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নতুন মিটার বসলে বিদ্যুৎ খরচ আরো বাড়বে, এই ভয়ই পাচ্ছেন সকলে। আদৌ এই স্মার্ট মিটার কি? এর ফলে কি লাভ না ক্ষতি হবে গ্ৰাহকদের? সেটাই জানবো আজকে এই প্রতিবেদন।
Table of Contents
What is Engergy Efficient Smart Meter?
স্মার্ট মিটারগুলি (Smart Electric meter) প্রিপেইড সিস্টেমে কাজ করবে, যার ফলে গ্রাহকরা আগে থেকে তাদের ব্যবহৃত বিদ্যুতের জন্য Electric Bill পেমেন্ট করতে পারবেন এবং কোনও অপ্রত্যাশিত বিলের শিকার হতে পারবেন না। Smart Meter Electricity Bill
Smart Electric meter এর সুবিধা:
•রাজ্য সরকার সূত্রে জানা গেছে, স্মার্ট মিটারগুলো গ্রাহকদের বিদ্যুতের ব্যবহার ট্র্যাক করার সুবিধা প্রদান করবে, যা ফলে সঠিক ও নির্ভুল বিলিং সম্ভব হবে।
•স্মার্ট মিটারগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকরা তাঁদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ সহজেই জানতে পারবেন এবং কোন সময় বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে তা বুঝতে পারবেন।
মিটারিং এজেন্সিগুলির জন্য নির্দেশাবলী
সভায়, সিএমডি জোর দিয়ে জানান যে, সমস্ত মিটারিং এজেন্সিগুলিকে অবশ্যই ইনস্টলেশনের আগে গ্রাহকদের Smart Electric meter কাজ এবং সুবিধাগুলি ব্যাখ্যা করতে হবে। এটি গ্ৰাহকদের এটা বুঝতে সাহায্য করবে যে, কীভাবে Smart Electric meter তাঁদের বিদ্যুতের ব্যবহার আরও সহজে ট্র্যাক করতে, সুবিধার উন্নতি করতে এবং সঠিক বিলিং নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে।
পুশ বোতাম Smart Electric meter-এ যোগ করতে হবে:
Smart Electric meter স্থাপনের পাশাপাশি, সিএমডি নির্দেশ দিয়েছেন যে সমস্ত মিটারে পুশ বোতাম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই বোতামগুলি গ্রাহকদের Smart Electric meter এর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি সহজেই ব্যবহার করার অনুমতি দেবে, সিস্টেমটিকে আরও ব্যবহারকারী-বান্ধব করে তুলবে৷ এরই সঙ্গে, এদিন সিএমডি দু’ টি মিটারিং এজেন্সি, এনসিসি এবং হাই প্রিন্টকে সতর্ক করে দেন। কিছু এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ইনস্টলেশন পূরণ না করার জন্য, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, স্মার্ট মিটার স্থাপনে আর দেরি মেনে নেওয়া হবে না।
Smart Electric meter-এর বিরোধিতা:
এই রাজ্যের অনেক এলাকায় Smart Electric meter স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। কিন্তু এখনও কিছু মানুষ নতুন ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছেন। তা সত্ত্বেও, রাজ্য সরকার জনসাধারণকে Smart Electric meter এর সুবিধাগুলি সম্পর্কে জানাতে এবং শিক্ষিত করতে এবং তাদের ইনস্টলেশনকে উৎসাহিত করে চলেছেন। আসলে Smart Electric meter- এ রোলআউট বিহারে রাজনৈতিক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করেছে। যাইহোক, সরকার রাজ্য জুড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য এই পদক্ষেপ করেছে।
ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা
সম্প্রতি দক্ষিণ বিহার পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিএমডি পঙ্কজ কুমার পাল জানিয়েছেন, Smart Electric meter ইনস্টলেশনের জন্য যে সমস্ত মিটারিং এজেন্সিগুলি দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, 30 November মধ্যে সব সরকারি ভবনে Smart Electric meter বসাতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হলে, সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলির বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিটারিং এজেন্সিগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে সময়মতো কাজটি সম্পন্ন হয়।
বিগত প্রায় এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।