Woman Security 2024: নারী-নিরাপত্তা নিয়ে বড় ঘোষণা, নারী-নিরাপত্তায় সরকারি প্রকল্প ‘রাত্তিরের সাথী’ ঘোষণা রাজ্যের।
Woman Security 2024
Rattirer Sathi: এই মুহূর্তে গোটা দেশ আর জি করের ঘটনায় উত্তাল। আর জি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায়, নারী নিরাপত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যের নতুন কর্মসূচি। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একাধিক দফতরের উদ্যোগেই ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প চলবে। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চলবে পুলিশ পেট্রলিং।
Table of Contents
সরকারের একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেন রাতে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য। রাজ্য মহিলা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় বিশেষ কর্মসূচি চালু করল। যারা নাইটশিফটে কাজ করেন, তাঁদের জন্য এই বিশেষ কর্মসূচি। সেই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাত্তিরের সাথী’।গোটা দেশ আর জি করের ঘটনায় উত্তাল। আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায়, নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এর পাশাপাশি আরও অনেক প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও। শনিবার এহেন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা হল। Woman Security 2024
হাসপাতালে রাখা হবে ‘রাত্তিরের সাথী’ নামে “মহিলা বান্ধব সিকিউরিটি ফোর্স” । মহিলাদের জন্য আলাদা রেস্ট রুম ও টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্য সেফ জ়োন তৈরি করে সিসিটিভি দিয়ে তা মুড়ে ফেলবে। স্থানীয় থানা কিংবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে বিশেষ মোবাইল ফোন অ্যাপের যোগ থাকবে। সকল কর্মরত মহিলাদের ফোনে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক করা হবে। Woman Security 2024
যে কোনও এমার্জেন্সি বা প্যানিক সিচুয়েশন হলে হেল্পলাইন নম্বর 100 বা 112 ব্যবহার করতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, জেলা হাসপাতালগুলিতে সিকিউরিটি চেক, ব্রেথালাইজার টেস্টের ব্যবস্থা থাকবে। বিশাখা কমিটি যদি কোথাও না হয়ে থাকে তা থাকতেই হবে। বেসরকারি সংগঠনগুলিকেও সরকারের এই গাইডলাইন মেনে চলার আবেদন করছে রাজ্য। সমস্ত জেলাতেও এই কর্মসূচি গৃহীত হবে। এই কর্মসূচি অনুযায়ী, যখন কোন কর্মরত মহিলার রাতের ডিউটিতে থাকবেন, তখন যেন একসঙ্গে দু’জন মহিলা কাজ করেন বা টিমে কাজ করেন, তাতে জোর দেওয়া হবে। নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রেও পুরুষ-নারীর সমানুপাতে নজর রাখবে রাজ্য।
*এই প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের জন্য-
•হাসপাতালগুলিতে শৌচালয়-সহ বিশ্রাম কক্ষ তৈরি হবে।
•রাতের জন্য বাড়তি মহিলা নিরাপত্তারক্ষী থাকবে।
•নজরদারির জন্য সিসিটিভির আওতায় তৈরি হবে ‘সেফ জোন’ ‘রাত্তিরের সাথী’ মোবাইল অ্যাপ (Mobile App) তৈরি হবে, যা স্থানীয় থানার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং কোনও ঘটনা ঘটলে বিপদঘণ্টি বাজবে।
•চালু হবে 24 ঘণ্টার হেল্প লাইন নং – 100/112.
•হাসপাতালে প্রবেশের সময় সকলের নিরাপত্তা পরীক্ষা, শ্বাস পরীক্ষা করা হবে। যাতে হাসপাতালে কোনও মদ্যপ ঢুকতে না পারেন তার জন্য শ্বাস পরীক্ষা।
•রাতের শিফটে মহিলাদের যথাসম্ভব বাদ রাখার পক্ষে সওয়াল রাজ্য সরকারের। যদি কাজ করতে হয়, তাহলে মহিলারা দুজন কিংবা গোষ্ঠীবদ্ধভাবে কাজ করবেন।
•হাসপাতালের সবকটি তলায় পানীয় জলের ব্যবস্থা।
•রাতের শিফটে পুরুষ-মহিলা কর্মীদের সমানুপাতে রাখতে হবে।
•রাতে কাজের সময়ে কর্মক্ষেত্রে পরিচয়পত্র পরে থাকতে হবে।
•বেসরকারি সংস্থাকেও ‘রাত্তিরের সাথী’ ইনস্টল করতে হবে।
বিগত প্রায় এক বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রের সরকারি ও বেসরকারি চাকরির প্রতিবেদন লিখতে পারদর্শী।